banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 554 বার পঠিত

 

পাকিস্তানে পালিয়ে বিয়ে করায় মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন মা

পাকিস্তানে পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করায় নিজের মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার মা। পুলিশ ওই ঘটনায় মেয়েটির মাকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার পাকিস্তানের লাহোর শহরে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ জানায়, এক সপ্তাহ আগে আদালতে গিয়ে পছন্দের ছেলে হাসান খানকে বিয়ে করেন জিনাত রফিক। পরে তার বাবা-মা জিনাতের স্বামীর বাড়িতে যান। জিনাতকে তারা প্রতিশ্রুতি দেন, ধর্মীয় ও পারিবারিক আইন মেনে আবার তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এ লোভ দিয়ে জিনাতকে তাদের সঙ্গে নিয়ে আসেন।

পুলিশ আরও জানায়, জিনাত রফিকের দেহে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। হত্যার বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত হওয়ার দুই দিন আগে তরুণীটির পরিবার তাকে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। অপরাধ ক্ষমা করে দিবে ভেবে পরিবারের কাছে ফিরেও আসে মেয়েটি। শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসার পর তার মা মেয়ের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্টেশন হাউজ কর্মকর্তা শেখ হাম্মাদ আখতার জানান, নিহত ওই তরুণী লাহোরের মাস্ট ইকবাল রোডের বাসিন্দা।পালিয়ে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করার বিষয়টি পরিবার মেনে নিতে পারে নি।

পুলিশের কাছে ওই তরুণীর মা আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে এবং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ সুপার ইবাদাত নিসার জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর দুবাই ফেরৎ বড় ভাই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।

প্রসঙ্গত, গত এক মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটলো। দেশটিতে প্রেম করে বিয়ে করাকে সামাজিকভাবে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। এসব ক্ষেত্রে নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও বেশি।

গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি স্কুল এক শিক্ষিকা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার গায়ে আগুন দেয়া হয়। পরে ওই শিক্ষিকা মারা যান। এরও একমাস আগে বন্ধুকে পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করায় এক কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

Facebook Comments