আমাদের দেশে রান্নায় সব মশলার মধ্যে লবণের পরই কাঁচামরিচের স্থান। যেকোনো রান্নাতে কাঁচামরিচের ব্যবহার যথেষ্ট। তবে অনেকেই ঝাল পছন্দ করেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, লঙ্কার ঝালের জন্যই খাওয়ার সময় যে লালা নিঃসৃত হয়, তা খাবার হজম হতে সাহায্য করে। বর্তমানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা মেজবানির খাবারের মধ্যে লাল লঙ্কা বা শুকনো লঙ্কার ব্যবহার হয়। তাতে পেট জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা আমাসার ভয় থাকে। সেদিক থেকে কাঁচামরিচ অনেকটাই নির্দোষ। আবার কিছু সমস্যাও আছে।
পরিমিত কাঁচামরিচ খেলে মুখের স্বাদ বদলে দেয়। খাওয়ার রুচিও বাড়িয়ে দেয়। কাঁচালঙ্কার বহু গুণাবলী রয়েছে। সেগুলোর দিকে একটু তাকানো যাক।
১. শরীর থেকে যাবতীয় নোংরা ফেলে দিতে সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা। যেমন লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে।
২. শুকনোমরিচের শুষ্ক খোসা খেলে ডায়াবেটিস সেরে যায়। এছাড়া আমাশয়, বমির প্রবৃত্তি নষ্ট করে দেয়।
৩. ব্যথা ও বাতের মালিশের জন্য কাঁচামরিচ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. পেট ব্যাথা করলে পানির মধ্যে লঙ্কা মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।
৫. ছারপোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে মরিচের ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো লঙ্কা পানিতে ফুটিয়ে ক্কাথ তৈরি করুন। এবার যেখানে যেখানে ছারপোকার উপদ্রব সেখানে সেখানে ওই ক্কাথ লাগিয়ে দিলে ছারপোকা মরে যায়।
৬. কুকুর কামড়ালে সাথে সাথে লালমচির পিষে ক্ষতস্থানে দিয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিষ পুড়ে যায়।
৭. অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। কাঁচামরিচ বেশি খেলে যকৃৎ বা লিভার গরম হয়ে যায়। তাতে নানা রকম রোগ দেখা দিতে পারে।
৮. অতিরিক্ত মরিচ খেলে শুক্র তরল হয়ে যায়। এছাড়া রতি শক্তি হ্রাস পায়।
৯. বেশি পরিমানে মরিচ খেলে শরীর গরম হয়, মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া পাকস্থলীতে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
১০. লঙ্কা বেশি খেলে হজম শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ভয়ঙ্কর রকমর অজীর্ণ রোগ দেখা যেতে পারে। যে রোগ সারানো প্রায় দুঃসাধ্য!
সূত্র- নয়া দিগন্ত।