নারী সংবাদ
পারিবারিকভাবে পটুয়াখালী জেলার বিলকিস বেগম ও একই এলাকার নাসিরের বিয়ে হয়। বছর ঘুরতেই তাদের কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। কিন্তু এরই মধ্যে বিলকিস বেগমের সঙ্গে জামালপুরের সোলেমানের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে ছয় মাসের কন্যা মরিয়মকে নিয়ে সোলেমানের সঙ্গে জামালপুর পালিয়ে যায় বিলকিস। এরপর দু’জনে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। সেখান থেকে দু’জনে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। কিন্তু আগের পক্ষের মেয়েকে নিয়ে বিলকিস ও সোলেমানের মধ্যে ঝগড়া হতে থাকে। এক সময় দু’জনই সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের দু’জনের পথের কাঁটা ছয় মাসের মরিয়মকে তারা মেরে ফেলবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শ্বাসরোধে ছয় মাসের মরিয়মকে হত্যা করে বিলকিস ও সোলেমান। হত্যার পর শিশুকন্যার লাশ লুঙ্গিতে মুড়িয়ে রাস্তার ধারে ফেলে রাখে তারা।
গতকাল বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক সোলেমান ও বিলকিস।
১৭ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পাগলা এলাকার রাস্তার ধারে লুঙ্গিতে মোড়ানো একটি শিশুর লাশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর ফতুল্লা থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করে। পিবিআইর নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সির নেতৃত্বে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমের ওপর। পিবিআই তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে বিলকিস বেগম ও সোলেমানের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শুকরিয়া ও কনস্টেবল মিষ্টি আক্তার জামালপুর ও পটুয়াখালীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৫
নভেম্বর সোলেমান ও বিলকিসকে গ্রেফতার করে। সুত্র: সমকাল।