banner

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 26 বার পঠিত

 

নুসাইবা বিনতে কা’ব (রা.):রাসুল (সা.) এর প্রতিরক্ষায় সাহসী নারী

 

হযরত নুসাইবা বিনতে কা’ব (রা.), যিনি উম্মে আম্মারা নামে পরিচিত,ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নারী সাহাবী।
তিনি মদিনার বনু খাযরাজ গোত্রে জন্মগ্রহ করেন।
এমন এক সাহসী নারী, যিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতিরক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে দ্বিধা করেননি।

উহুদ যুদ্ধে নুসাইবা (রা.) আহতদের পানি সরবরাহ এবং তাদের সেবা করার দায়িত্ব পালন করছিলেন। যখন তিনি দেখতে পেলেন যুদ্ধের ময়দানে বিশৃঙ্খলা তৈরী হওয়াতে শত্রুরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে, তখন তিনি আর পিছিয়ে থাকেননি।
সঙ্গে থাকা তলোয়ার ও ঢাল হাতে তুলে নেন এবং শত্রুদের মোকাবিলা করতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পাশে দাঁড়ান। নিজেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করর একের পর এক শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সুরক্ষিত রাখেন। তাঁর এই বীরত্বের ঘটনা স্মরণ করে রাসুল (সা.) বলেন
“আজ আমি যেদিকেই তাকাই, দেখি নুসাইবা আমার প্রতিরক্ষায় লড়ছেন।”

যুদ্ধের পর নুসাইবা (রা.)-এর শরীরে অন্তত ১২টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এক আঘাত এত গুরুতর ছিল যে সেরে উঠতে অনেক দিন সময় লাগে। তিনি নিজের জীবনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাসুল (সা.)-কে শত্রুর তীর ও অস্ত্র থেকে রক্ষা করেন।

হযরত নুসাইবা (রা.) শুধু যোদ্ধা ছিলেন না; তিনি ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেওয়ার কাজেও ছিলেন সক্রিয় ।
উহুদ যুদ্ধ ছাড়াও তিনি হুনাইন যুদ্ধ এবং হুদাইবিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর স্বামী এবং সন্তানরাও ছিলেন ইসলামের জন্য নিবেদিত।

হযরত নুসাইবা বিনতে কা’ব (রা.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সাহসিকতা, আত্মত্যাগ এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি দেখিয়েছেন, ঈমান ও সাহস যদি মজবুত হয়, তবে যে কেউ ইসলামের জন্য এক বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে।

Facebook Comments