banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 740 বার পঠিত

নিরাপদ মাতৃত্ব

image_1052_297208

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। প্রতি বছর ২৮ মে দিবসটি পালিত হয়। গর্ভবতী মা ও শিশুর নিরাপদ স্বাস্থ্য ও প্রসবকালীন মৃত্যু হার কমানোর কথা চিন্তা করে ব্যাপক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৭ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। সামপ্রতিক বছরগুলোতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমলেও নিরাপদ শিশু জন্মদানের জন্য বাংলাদেশের সকল মা এখনো হাসপাতালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া প্রসব পরবর্তী মৃত্যুঝুঁকি, নবজাতকের নানা রকম শারিরীক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে বাংলাদেশে এখনো প্রতি ঘণ্টায় একজন করে মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিবছর সারাবিশ্বে ২১ কোটি নারী গর্ভবতী হয় এবং দুই কোটিরও বেশি নারী গর্ভজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে। এদের মধ্যে আবার ৮০ লাখের জীবনাশঙ্কা দেখা দেয়। শহরাঞ্চলের মায়েদের হাসপাতাল সেবা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা গর্ভবতী মায়েদের কাছে এখনো আধুনিক চিকিত্সা সহজলভ্য হয়ে উঠেনি।

অনেক সময় অনিরাপদ ডেলিভারি মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়। এছাড়া সন্তান প্রসবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে গায়ে, হাতে-পায়ে পানি জমলে, অতিরিক্ত মাথা ধরা, ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে চিকিত্সার জন্য চাই অভিজ্ঞ ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল। কাজেই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব এখনো প্রকট। এমন অবস্থায় মাকতৃস্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মাতৃমৃত্যুর হার হরাস পেলেও মায়েদের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য দেশে এখনও স্থায়ী ব্যবস্থাপনা নেই। মায়ের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী যত্নের অভাব প্রকট রয়েই গেছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৮ মে ২০১৪.

Facebook Comments