মুমিনুল হকরা আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন। খেলবেন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। করোনাকালে তামিম-মুশফিকদের মতোই বিসিবির ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুশীলন করছেন নারী ক্রিকেটাররা। যদিও তাদের সামনে কোনো লক্ষ্য নেই। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের সূচি নেই রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলমদের জন্য। এমনকি কোনো ক্যাম্প আয়োজনেরও খবর নেই।
তবে করোনাকালে নারী ক্রিকেটারদের স্বস্তির খবর আছে। নিকট ভবিষ্যতেই সালমা-রুমানাদের বেতন, ম্যাচ ফি বাড়াবে বিসিবি। উইমেন্স উইং থেকে এ সম্পর্কিত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বোর্ড সভায়। বিসিবির অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর হবে।
জানা গেছে, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করবে উইমেন্স উইং। ওয়ানডে, টি-২০’র ম্যাচ ফিও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে।
জানতে চাইলে উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গতকাল বলেছেন, ‘আমরা ওদের বেতন বাড়াবো, ম্যাচ ফিও বাড়ানো হবে। একেবারে অনেক হবে না। অল্প অল্প করে বাড়ানো হবে। বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানো হবে। ম্যাচ ফি কয়েক গুণ বাড়বে।’ পরবর্তী বোর্ড সভায় এটি অনুমোদন হতে পারে।
তামিম-মুমিনুলদের তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফির ফারাক অনেক। বর্তমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার তুলনায় সেটি অনেকটাই অপ্রতুল। তাই বাড়ানোর চিন্তা করছে উইমেন্স উইং। বর্তমানে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার করে প্রতি মাসে বেতন পান নারী ক্রিকেটাররা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ২০ ক্রিকেটার।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ১০০ ডলার ও টি-২০ ৭৫ ডলার ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন জাহানারা আলমরা। বাড়ানোর পর ওয়ানডেতে ৪০০ ডলার হতে পারে ম্যাচ ফি। আর টি-২০ তে ৩০০ ডলার।
পারিশ্রমিকের এই পরিবর্তন নারী ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এমনিতে আমাদের সুযোগ-সুবিধা খারাপ না। যা দিচ্ছে বিসিবি। আরো ভালো করতে, আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দরকার। বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ানো হয় যদি, তাহলে এটা ভালো পদক্ষেপ। পারিশ্রমিক বাড়ালে সবাই আত্মবিশ্বাস পাবে। এটা আমাদের ভালো খেলতে উৎসাহ দিবে।’