banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1570 বার পঠিত

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (“যৌতুক” অর্থ)


নারীর জন্য আইন


নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷ যেহেতু নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

(ঞ) “যৌতুক” অর্থ-

(অ) কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ; অথবা

(আ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তত্পূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ;

৩৪৷ (১) নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১৮ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল৷

(২) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত আদেশ, রায় বা শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট আদালতে এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত আইন রহিত করা হয় নাই৷

(৩) উক্ত আইনের অধীন অপরাধের কারণে যে সমস্ত মামলার রিপোর্ট বা অভিযোগ করা হইয়াছে বা তত্প্রেক্ষিতে চার্জশীট দাখিল করা হইয়াছে, বা মামলা তদন্তাধীন রহিয়াছে, সেই সমস্ত মামলাও উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত আদালতে বিচারাধীন মামলাহুহুুু বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) উক্ত আইনের অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত সমূহ এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইবে এবং উপ-ধারা (২) অনুসারে উহাতে উল্লিখিত মামলাসমূহ নিষ্পত্তি করা যাইবে৷

সুত্র: bdlaws.minlaw.gov.bd

Facebook Comments