নারী উদ্যোক্তারা যেন সহজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পান, সে জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসি-এর এক গবেষণা রিপোর্ট দেখা গেছে, বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার কোটি ঋণ। কিন্তু তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে, মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসির রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাংকিং খাত এখন পর্যন্ত নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কিন্তু এ উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ সরবরাহ করলে তারা ব্যাংকিং খাতের জন্য বিশাল সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
বাংলাদেশের মোট ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ২.৩ শতাংশের মালিক নারী এবং এই উদ্যোক্তারা গড়ে তাদের আয়ের ৯০ শতাংশ পরিবারের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে।
৫০০ নারী উদ্যোক্তার ওপর জরিপ চালিয়ে এক বছর গবেষণা করে এ রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তারা এগুতে চায় কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় বাধা অর্থায়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ‘একুশ শতকে নারী উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে সমৃদ্ধশালী হওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আইএফসি-এর রিপোর্টটি নারী উদ্যোক্তাদের কিভাবে আরও বেশি করে ঋণ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকগুলো।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে বেনো লাঘামে ও আইএফসি-এর বাংলাদেশ প্রধান ওয়েন্ডি ওয়ার্নার।