নভেম্বর মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ও কারা হেফাজতে ১১ জন মারা গেছেন। বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন চারজন। গুম হয়েছেন দুজন। যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে ১৮ জন নারীকে।
গতকাল সোমবার মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা, যৌতুকের জন্য অত্যাচার, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, অ্যাসিড-সন্ত্রাস, গণপিটুনি এবং তৈরি পোশাকশ্রমিকদের হতাহতের ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত এক মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নয়জন নিহত এবং ৮৫৪ জন আহত হন। গত এক মাসে যৌতুকের কারণে ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং দুজন আত্মহত্যা করেছেন৷ ১৯ জন নারী ও ৩৩ জন মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ এর মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে গুম করা, বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা, মত প্রকাশ ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের ওপর গোপন নজরদারি, ঠুনকো বিষয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, সহিংসতার দায় একে অন্যের ওপর চাপানো বন্ধ করা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিচারের সম্মুখীন করা এবং পুলিশ বা র্যাব পরিচয় দিয়ে গুম-হত্যার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর জবাবদিহি সৃষ্টিসহ প্রতিবেদনে আরও কিছু সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, আইনানুযায়ী কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও তা করছে না।
সূত্র- প্রথম আলো।