দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে ১৭ শতাংশ নারী পরিচালক রয়েছে। তবে তাদের পদায়ন বেশির ভাগই পারিবারিক ভাবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিভিলিটি (সিএসআর)সেন্টার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি)যৌথ উদ্যোগে ‘রিং দ্য বেল ফর জেন্ডার ইক্যুয়িটি শীর্ষক’আলোচনা সভায় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে কোম্পানিগুলো ১৭ শতাংশ পরিচালক নারী রয়েছে। যা অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো। তবে বেশিরভাগই পারিবারিক ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। তারা দক্ষতা ও যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে ওই পদে আসেনি। এছাড়া ইউরোপের অনেক দেশ থেকে নারীর পদায়নে যোগ্যতা ও দক্ষতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে আছে।
শিক্ষিত, দক্ষ নারী কর্মী নিয়োগের আহবান জানান তারা। আর তাই নারীদের প্রশিক্ষন প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তারা।
তাদের মতে, কোটা ভিত্তি ও পারিবারিকভাবে নিয়োগ না দিয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে নারীদের নিয়োগ দেয়া উচিত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কোনো কোম্পানির বোর্ডে একজন পরিচালক নারী থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও প্রাইভেট সেক্টরে ৫ শতাংশ দক্ষ নারীকে কোম্পানির বোর্ডে রাখার পরামর্শ দেন তারা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী ব্যবসায়ী থাকলেও বাংলাদেশে নারী ব্যবসায়ী খুব কম। আর যারা ব্যবসায় আসছে তারাও পরিবারের উত্তোরাধীকার সূত্রে আসছে। স্বেচ্ছায় ব্যবসা খাতে নারীদের আনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তারা।
সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে এদেশের নারীরাও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহামিন এ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।