banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 300 বার পঠিত

 

ট্রেনের টয়লেট থেকে মাদরাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার

ট্রেনের টয়লেট থেকে মাদরাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার


নারী সংবাদ


ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের বগির ভেতর থেকে পুলিশ গতকাল আসমা আক্তার (১৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে।
গতকাল সকালে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশের ধারণা, তরুণীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার সকালে মেয়েটি পঞ্চগড় থেকে নিখোঁজ হয়েছিল বলে স্বজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
গতকাল রাতে কমলাপুর জিআরপি থানার ওসি রুশো বণিক নয়া দিগন্তকে বলেন, সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে কমলাপুর রেলস্টেশনের ওয়াশফিড এলাকায় বলাকা ট্রেনের একটি ড্যামেজ বগির টয়লেটের ভেতর থেকে ১৭-১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর লাশ উদ্ধার হয়। লাশটির গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ধারণা করছি, মেয়েটিকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে এর আগে সে ধর্ষিত হয়েছে কি না সেটি ময়নাতদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। প্রতিবেদনের পরই বলা যাবে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি। আর মেয়েটির শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্নহ্ন পাইনি। এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, আমরা লাশের পাশ থেকে তার ব্যবহৃত একটি ব্যাগ পেয়েছি। সেই ব্যাগে কিছু কাগজপত্র ছিল। বার্থ সার্টিফিকেট ছিল। সেই অনুযায়ী তার পরিচয় আমরা নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করি। আসমার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার শীলপাড়ায়। তার বাবার নাম আব্দুল রাজ্জাক মিয়া।
তবে হাসপাতাল মর্গে কমলাপুর রেলওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলী আকবর সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নহ্ন রয়েছে। আর তরুণী ধর্ষিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আসমার চাচা মো: রাজু পুলিশকে জানান, রোববার সকাল থেকে তার ভাতিজি আসমা নিখোঁজ ছিল। সোমবার পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা লাশ শনাক্ত করেন। চাচা জানান, আসমা গ্রামের একটি মাদরাসা থেকে গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। গ্রামের একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসমা নিখোঁজের পর থেকে ওই ছেলেকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ওই ছেলে জড়িত থাকতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন। নিহত আসমার বাবা একজন কৃষক। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। সুত্রঃ নয়া দিগন্ত।

Facebook Comments