জার্মানিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কার্যনির্বাহী বোর্ডে নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করে নতুন আইন পাস হতে যাচ্ছে। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার এই ঐতিহাসিক বিলে সম্মতি জানিয়েছে। খবর এএফপির।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো, যাদের কার্যনির্বাহী বোর্ডে চার বা তার বেশি সদস্য রয়েছে, সেখানে অন্তত একজন নারী সদস্য রাখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যাম্ব্রেখট এই আইনকে ‘একটি শক্তিশালী সংকেত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ‘যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের প্রতিনিধিত্বের এই সুযোগ কাজে লাগানোর’ আহ্বান জানান কর্পোরেশনগুলোকে।
পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঞ্জিসকা গিফে বলেন, ‘আমরা দেখাতে পারব যে জার্মানি ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত আধুনিক সমাজের পথে রয়েছে।’
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে উচ্চপদে নারীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। অলব্রাইট ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, জার্মানির ৩০টি বড় তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডে মাত্র ১২.৮ শতাংশ নারী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২৮.৬ শতাংশ, ব্রিটেনে ২৪.৫ ও ফ্রান্সে ২২.২ শতাংশ।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় জার্মানিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব আরও কমেছে। অক্টোবরে অলব্রাইট জানায়, ১১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কার্যনির্বাহী বোর্ড শুধুমাত্র পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
জার্মানিতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ২০ শতাংশ কম আয় করে থাকে, যা সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিউয়নের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। যেসব কোম্পানির মালিকানার অধিকাংশ সরকারের হাতে সেগুলোতে আরও কঠোর হবে এই আইন। এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডে দুই জনের বেশি সদস্য থাকলে সেখানে অন্তত একজন নারী থাকতে হবে।