২০১৬ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছেলে শিক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর পাসের হার বেশি। মেয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ছেলে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ছেলে শিক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীর পাসের হার শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি।
এবার সারাদেশে সার্বিক (এসএসসি, দাখিল, কারিগরিসহ) গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। গতবছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বুধবার (১১ মে) সকাল ১০টার দিকে তিনি ফল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলাফলের সারাংশ তুলে দেন।
সারাদেশে এসএসসিতে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, মাদরাসা ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক পাসের হার বেশি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এবার মেয়েদের পাসের হার বেশি। পরের বার যেন ছেলেদের পাসের হারও বাড়ে। অন্তত সমান-সমান যেন হয়।
তিনি আরও বলেন, ছেলেরা আরেকটু বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়লে তারা মেয়েদের সমান ফলাফল করতে পারবে।
ডিজিটাল এই বাংলাদেশে আগের মতো আর পরীক্ষার ফলাফল পেতে শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি করতে হয় না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এখন ঘরে বসেই ফলাফল জানা যায়, কোথাও গিয়ে অপেক্ষা করে, পয়সা খরচ করে ফলাফল দেখতে হয় না।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র। ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।
গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় বিজ্ঞানে ৫৬ হাজার ২৮৬ জন এবং মোট পৌনে দুই লাখ পরীক্ষার্থী বেশি অংশ নেয়। বিদেশে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ সব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ৪০৪ জন। পরীক্ষা শুরু হয় ২ ফেব্রুয়ারি। তত্ত্বীয় বিষয় শেষ হয় ১০ মার্চ। ১৫-১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।