চোখের সাজে মনের কথা ফুটে ওঠে। তাইতো কতভাবে কত ঢঙে এই চোখকে ফুটিয়ে তোলা হয়। কখনো কাজলের স্পর্শে আবার কখনো বাহারি রঙের ছটায়। প্রিয় মানুষটির ছায়া নিজের চোখে দেখতে কে না পছন্দ করে। আর চোখ সাজাতে জুড়ি নেই আইশ্যাডোর। এটি চোখকে যেমন ফুটিয়ে তোলে তেমনই এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। তবে এই আইশ্যাডো দেয়ার আছে কিছু নিয়ম। যার সাহায্য আপনার চোখকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারেন।
চোখের আকার, রুচি, পোশাকের ধরণ ও রং, সাজের ধরন এবং আপনার ব্যক্তিত্ব আর স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী বেছে নিন শ্যাডো। তবে সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হালকা রং যেমন গোলাপি, হালকা নীল, সোনালি, হালকা সবুজের যেকোনো শেড। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে চোখে মোটা করে কাজল বা স্মোকি আই সবচেয়ে মানানসই।
দিনের বেলা ব্যবহারের জন্য সংগ্রহে রাখতে পারেন বাদামি, ছাই (এশ), মভ, পিচের মতো আর্থ বা বেইজ টোনের রঙগুলো। আর রাতে ব্যবহারের জন্য অরেঞ্জ বা কমলা, বেগুনি, লাল, হলুদ, সবুজ, নীল, ডিপ ম্যাজেন্টা রঙগুলো থাকা চাই বিউটি বক্সে।
আইশ্যাডো বাছায়ের জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার গায়ের রঙের দিকে নজর রাখতে হবে। যাদের গায়ের রং ফর্সা তারা দিয়ে হালকা আর রাতে গাড় শেড ব্যবহার করুন, আর যাদের গায়ের রং শ্যামলা তারা সোনালি, সিলভার, গাঢ়, বেগুনি, বারগ্যান্ডি, বাদামি, পিচ, মভ ইত্যাদি।
চোখের আকারের সাথে সাথে আবার আইশ্যাডো লাগানোর ধরণে আসে বৈচিত্র্য। যেমন যাদের দু’চোখের দূরত্ব কম তারা নাকের কাছাকাছি থেকে চোখের ভেতরের দিকে শ্যাডো ব্যবহার করুন।
অন্যদিকে যাদের চোখের দূরত্ব বেশি, তারা চোখের ভেতরের অর্ধেক অংশজুড়ে মাঝারি থেকে গাঢ় টোনের যেকোনো রঙের শ্যাডো লাগান। ছোট চোখে হালকা রঙের আইশ্যাডোগুলো ভালো দেখায়।
শ্যাডো লাগানোর ক্ষেত্রে স্পঞ্জ বা ব্রাশ অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করতে পারেন। আঙুল দিয়েও কাজ সেরে নেয়া যাবে। পছন্দমতো আইশ্যাডো নিয়ে আইল্যাশের কিনারা থেকে চোখের পাতার উপরের ভাঁজ পর্যন্ত লাগিয়ে নিন।
শ্যাডো লাগানোর ব্রাশ বা স্পঞ্জ বহুব্যবহৃত বা পুরনো হলে সেটি ব্যবহার করবেন না। এতে করে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আপনার আইশ্যাডো কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে সময় নিয়ে সাজুন। খেয়াল রাখুন যাতে চোখের ভেতর চলে না যায়। চোখের সাজের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের পন্য ব্যবহার করলে ভালো হয়। আর অবশ্যই আপনার গায়ের রঙ এবং পোশাকের সাথে মিলিয়ে আইশ্যাডো চোখে লাগান।