চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া কিংবা চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে পুষ্টির ঘাটতি অন্যতম কারণ। এর মধ্যে বায়োটিন (Biotin) হলো এমন একটি ভিটামিন যা চুল, ত্বক এবং নখের সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ভিটামিন বি-৭ নামেও পরিচিত, যা শরীরের চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন ভাঙতে সহায়তা করে এবং কেরাটিন উৎপাদন বাড়িয়ে চুলকে করে তোলে মজবুত ও স্বাস্থ্যবান।
নিচে বায়োটিন সমৃদ্ধ কিছু খাবার এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
যেসব খাবারে বায়োটিন পাওয়া যায়:
১. ডিমের কুসুম – সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎসগুলোর একটি। তবে কাঁচা না খেয়ে সিদ্ধ খাওয়া উত্তম।
২. বাদাম ও বীজ – যেমন: বাদাম, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।
৩. সোয়াবিন ও ডালজাতীয় খাবার – উদ্ভিজ্জ উৎস হিসেবে ভালো।
৪. মিষ্টি আলু – অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োটিন সমৃদ্ধ।
৫. কলা ও অ্যাভোকাডো – সহজলভ্য ফল যা হেয়ার কেয়ার-এ কার্যকর।
৬. মাছ (বিশেষ করে স্যামন ও টুনা) – ওমেগা-৩ এর পাশাপাশি বায়োটিন সরবরাহ করে।
৭. দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য – যেমন: দই, ছানা ইত্যাদি।
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় টিপস:
১. সুষম খাদ্যগ্রহণ নিশ্চিত করুন – শুধু বায়োটিন নয়, আয়রন, জিংক, প্রোটিন ও ওমেগা-৩-ও চুলের জন্য জরুরি।
২. অতিরিক্ত হিট এড়ান – হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনারের অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩. জলীয় পদার্থের গ্রহণ বাড়ান – শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখলে টক্সিন বের হয় ও চুল সতেজ থাকে।
৪. চুলের পরিচর্যায় কেমিক্যালমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন – সালফেট ও প্যারাবেনমুক্ত পণ্য বেছে নিন।
৫. হেয়ার মাস্ক ও তেল ম্যাসাজ করুন নিয়মিত – নারিকেল বা আমন্ড অয়েল বায়োটিন সংরক্ষণে সাহায্য করে।
৬. প্রয়োজনে ডাক্তারি পরামর্শে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন – তবে তা অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে।
বায়োটিন চুলের জন্য একটি গোপন জাদুর মতো কাজ করলেও এটি একা যথেষ্ট নয়। স্বাস্থ্যবান চুলের জন্য প্রয়োজন ভেতর থেকে পুষ্টি, বাইরে থেকে পরিচর্যা এবং নিয়মিত অভ্যাসের পরিবর্তন।