কিছুদিন ধরেই চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। রোগটি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও বেশ পীড়াদায়ক। কারণ জ্বর কমে গেলেও শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি দীর্ঘসময় ধরে থেকে যায়। আর এই রোগের বাহক হচ্ছে মশা।
চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস ছড়ানো মশা দিনের বেলা কামড়ায়। তাই দিনের বেলা ঘুমালে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ঘরদোর ও চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
বাসার ভেতরে ও বাইরে পড়ে থাকা বালতি, ড্রাম, মাটির পাত্র, টিনের কৌটা, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত যানবাহন, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্লাস্টিক বা মাটির পাত্র, ফ্রিজ বা এয়ারকুলারের নিচে এবং বাড়ির ছাদ বা মেঝের নিচু স্থানে তিন দিনের অতিরিক্ত জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। তাই পরিত্যক্ত জিনিস জমতে দেবেন না এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।
সম্ভব হলে জানালা এবং দরজায় মশা প্রতিরোধক নেট লাগান, যাতে ঘরে মশা প্রবেশ না করতে পারে।
প্রয়োজনে শরীরের অনাবৃত স্থানে মশা নিবারক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে (মুখমণ্ডল ছাড়া)।
চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। সময়মতো সুচিকিৎসায় চিকুনগুনিয়া ভালো হয়।