চাকরি পাওয়ার প্রথম শর্ত হল একটি ভাল রিজুমে বা জীবনবৃত্তান্ত । একজন চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে প্রথম ধারণাটা পান জীবনবৃত্তান্ত থেকে। তাই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে জীবনবৃত্তান্তের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিযোগীতার এই যুগে ভাল চাকরি পেতে হলে রিজুমেটি হতে হয় অনেক বেশি স্মার্ট। একটি রিজুমেতে আপনি কী কী উল্লেখ করেন? নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি এই তো? কিন্তু বর্তমান সময়ে রিজুমেতে কিছু বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যা আপনাকে ভাল চাকরি পেতে সাহায্য করবে।
১। অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)
আপনি যদি কোন সৃজনশীল চাকরি খুঁজে থাকেন, তবে অ্যাডোবি ফটোশপের কাজ জেনে থাকা প্রয়োজন। ফটোশপের বেসিক কিছু কাজ যা আপনার যোগ্যতাকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। ফটো এডেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বেসিক কিছু ফটোর কাজ করতে পারবেন ফটোশপ থেকে।
২। মাইক্রোসফট এক্সেল
ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, কিংবা মার্কেটিং জব করতে ইচ্ছুক হলে, আপনাকে অব্যশই মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ জানতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়ারটি সময়ের সাথে সাথে আপডেট হতে থাকে। অ্যাডভান্স এক্সেল সফটওয়ারের কাজ শিখে রাখুন।
৩। যোগাযোগ
প্রতিটি কোম্পানি চায় যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী। যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যোগাযোগ সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারে। মৌখিক এবং লিখিত দক্ষতা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।
৪। মাল্টি টাস্কিং
একসাথে অনেকগুলো কাজ করার যোগ্যতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন। কোন কোন কাজে আপনি পারদর্শী তা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।
৫। কথা বলার ক্ষমতা
আপনি যেই ক্ষেত্রে চাকরি করেন না কেন, চাকরির একটি পর্যায়ে জনসম্মুখে আপনাকে কথা বলতে হবে। তাই সবার সামনে কথা বলার অভ্যাস থাকতে হবে। আপনার মধ্যে লজ্জা বা ভয় কাজ করলে সেটি কাটিয়ে তোলার জন্য কোর্স করুন। রিজুমেতে সেই কোর্সের নাম উল্লেখ করুন।
৬। নতুন কোন ভাষা শেখা
বাংলা ইংলিশের পাশাপাশি নতুন অন্যকোন ভাষা শিখে রাখুন। তা হতে পারে স্প্যানিশ, ফারসি অথবা অন্যকোন ভাষা। এটি আপনার রিজুমেতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এছাড়া ওয়েব ডেভলাপার, ওয়ার্ড প্রেস, এসইও (SEO: Search Engine Optimization) কাজ শিখে রাখতে পারেন। এই যোগ্যতাগুলো আপনাকে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আলাদা করবে।
লিখেছেন
নিগার আলম