banner

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 330 বার পঠিত

 

গোরস্তানে গিয়ে যে ৫টি কাজ করা নিষিদ্ধ

এক. কবরে সিজদা করা

কবরে সেজদা করা হারাম এই বিষয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আর এই হাদিসগুলি একজন মানুষের সামনে থাকলে সে কখনো এই ধরণের কাজ করতে পারে না। একটি হাদিসে এসেছে, হযরত জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি। [মিশকাত ৬৯]

 

দুই. কবরে পুষ্পস্তাবক অপর্ন করা

এই বিষয়ে একটি হাদিসে এমন পাওয়া যায় যে, একদিন নবী (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি ইরশাদ করলেন যে, এই উভয় কবরে আযাব হচ্ছে আতঃপর তিনি খেজুরের একটি তাজা ডাল এনে দুটি কবরে পুতে দিলেন এবং তিনি ইরশাদ করলেন, আশা করা যায় যতদিন এই ডাল শুকাবে না ততদিন আযাব কিছুটা লাঘব হবে। দাফন কাপরের পরে কবরে পানি ছিটিয়ে দেয়া জায়েয আছে কিন্তু ফুল ছিটিয়ে দেয়া সুন্নতের পরিপন্থী। কবরে আগর বাতি জালানো বিষিদ্ধ ও মাকরূহ। [আপকে মাসায়েল ১/৩১৬]

 

তিন. কবরে চাদর চড়ানো

হাদিসে দেয়ালে চাদর চড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ তাতে বাহ্যিকভবে তাতে খারাবীর কিছু নেই। শিরকেরও কিছু নেই। অথচ কবরে চাদর চড়ানো তো গায়রুল্লাহকে সম্মানের মান্তর। তাই কবরে চাদর চড়ানো জায়েয নেই। [আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৭৮]

 

চার. কবরে টাকা দেয়া

মাযারে যে কাটা দেয়া হয় এই দ্বারা যদি এই উদ্দেশ্য থাকে যে গরীবকে সাহায্য করা তাহলে দেয়া জায়েয আছে। আর যদি মাযারে মান্নত করার কারণে দিয়ে থাকে তাহলে তা নাজায়েয ও হারাম

 

পাচ. কবরবাসীর কাছে কিছু চাওয়া

কোন মাজারে গিয়ে এই কথা বলা যে, হে অমুক! আমার জন্য দোয়া করুন যেন আমার কাজটা হয়ে যায় অথবা এই কথা বলা যে কবর থেকে বের হয়ে এসে ইসলামকে সাহায্য করুন। অথবা এই ধরণের কোন শব্দ ব্যবহার করা বা ডাকা মাকরূহ। এছাড়া যদি তার আকীদা গলত হয় অর্থাৎ কবর ওয়ালাকে আল্লাহর কাজের হস্তক্ষেপের অধিকারি মনে করে ডাকে তাহলে হারাম হবে। [ইমদাদুল আহকাম ১/২২৩]

 

মাওলানা মিরাজ রহমান

Facebook Comments