নারী সংবাদ
কুলাউড়ার ভুকশিমইলে বিয়ের সাত মাসের মাথায় লিপি বেগম(১৯) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের ফার্নিচারের টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধু লিপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার দুপুর ২ টায় উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের কানেহাত গ্রামে গৃহবধুর স্বামীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিকেলে লাশ উদ্ধার করে।
কুলাউড়া থানায় কান্নাজড়িত কন্ঠে নিহতের মা রুশনা বেগম বলেন, সাত মাস আগে তার মেয়ে লংলা আধুনিক মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্রী লিপি বেগম(১৯)কে কানেহাত গ্রামের কাতার প্রবাসী আব্দুস সামাদের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে তার মেয়ে লিপি বেগমের নির্যাতন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসাবে প্রচার করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত লিপির পিতা আব্দুল মনাফ বলেন, আমার মেয়েকে ভাসুর-দেবরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।
নিহত গৃহবধু লিপি বেগমের ভাসুর সাইদুর রহমান বলেন, স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলে লিপি শোবার ঘরে গিয়ে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হয়তো স্বামীর সাথে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করতে পারে।
নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিহত লিপির বাবার বাড়ির এক মেম্বার এসে উসকানী দিয়ে এ মিথ্যে অভিযোগ করাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার জানান, ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধুর লাশ উদ্বার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুটি হত্যা না আত্মহত্যা- সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে।
নিহত গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পাননি বলে জানান তিনি।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সুত্র:নয়াদিগন্ত।