প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের রুক্ষতা। তীব্র রোদ আর গরমে নাকাল শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত। তার ওপর আবার ঘন ঘন লোডশেডিং, পানির সঙ্কট, রাস্তায় যানজট। সব মিলিয়ে যেন গরমের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় বহুগণ। কিন্তু গরম বলে তো আর সব কাজ ফেলে গরমের দাসত্ব করা যায় না।
এ গরমে নিজের প্রতি যত্নবান হলে সহজেই থাকা যায় ফুরফুরে ও সতেজ। তাই দিনভর স্বস্তির জন্য চাই আরামদায়ক পোশাক, সাজসজ্জা আর পুষ্টিকর খাবার।
বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে অস্থির জনজীবন। অসহ্য গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে নগরবাসী। তবে একটু সচেতন থাকলে এই গরমেও আপনি থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর।
প্রখর রোদ থেকে ত্বককে বাঁচাতে বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখবেন সেটি যেন আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী হয়। সারাদিন বাইরে থাকলে তিন-চার ঘণ্টা পর আবার সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
গরমের সময় আরামদায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে। ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক এই গরমে স্বস্তিতে রাখবে আপনাকে।
এই গরমে ফ্রেশ থাকতে বারবার মুখ ধোয়ার বিকল্প নেই। গ্রীষ্মে ধুলো-বালির প্রকোপ দেখা যায়। ফলে মুখে ব্রণ হয় খুব বেশি। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নেওয়া ভালো। এতে যেমন ধুলো-বালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তেমনি গরমেও থাকা যায় ঝরঝরে।
খেয়াল রাখুন:
১। দিনে কমপক্ষে দু’বার গোসল করুন।
২। রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। তারপরও ত্বক রোদে পুড়ে গেলে তরমুজ চটকে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
৩। যারা সারাদিন বাইরে থাকেন তারা সঙ্গে ভেজা টিস্যু রাখতে পারেন। ঘেমে গেলে চট করে মুখে বুলিয়ে নিন।
৪। গরমে চুল ঘামে খুব বেশি। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় চুল খোলা না রাখাই ভালো। চুলে সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করুন।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। কারণ গরমে ঘাম খুব বেশি হয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
৬। গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফলমূল খেতে পারেন। এ সময় তেল-মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।