ইরানি গণিতবিদ মারিয়াম মির্জাখানি। বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে ‘গণিতের নোবেল’ হিসেবে খ্যাত ফিল্ডস পদক পেয়েছেন। জ্যামিতিশাস্ত্রের জটিল বিষয়ে অবদানের জন্য তিনি চলতি বছর এই পুরস্কার পান। মির্জাখানি ছাড়াও ফিল্ডস পদকজয়ী অন্যরা হলেন যুক্তরাজ্যের মার্টিন হায়ারার, ফ্রান্সের আর্তুর আভিলা এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত গণিতবিদ মঞ্জুল ভার্গব।
জ্যামিতি ও গতিশীলতা, বিশেষ করে বাঁকা পৃষ্ঠতলের প্রতিসাম্য ব্যাখ্যায় মির্জাখানির বিশেষ অবদানের জন্য ফিল্ডস পদক দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইরানের তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আরেক ফিল্ডস পদকজয়ী কুরটিস ম্যাকমুলানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক এবং ক্লে ম্যাথমেটিকস ইনস্টিটিউটে রিসার্চ ফেলো হিসেবেও কাজ করেছেন।
মির্জাখানি ১৯৯৪ সালে হংকংয়ে এবং ১৯৯৫ সালে কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) স্বর্ণপদক অর্জন করেছিলেন। ফিল্ডস পদকের আগে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একাধিক পদক ও সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্লে রিসার্চ পুরস্কার, এএমএস ব্লুমেন্থাল পুরস্কার, হার্ভার্ড জুনিয়র ফেলোশিপ, মেরিট ফেলোশিপ ইত্যাদি। এ ছাড়া গণিত বিষয়ের বিভিন্ন আয়োজনে বক্তা হিসেবেও নামডাক আছে মির্জাখানির।
ব্যক্তিগত জীবনে আইবিএম আলমাডেন গবেষণা কেন্দ্রের তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানী জ্যান ভনড্রাককে বিয়ে করেছেন তিনি। এ দম্পতির আনাহিতা নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
ফিল্ডস পদক পেয়ে খুশি মির্জাখানি। তিনি মনে করেন, এই পথচলা শুরু হলো মাত্র। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেকেই ভবিষ্যতে এ পদক পাবেন। ভবিষ্যতে গণিত নিয়ে আরও কাজ করে যেতে চান তিনি।
অপরাজিতার পক্ষ থেকে মির্জাখানির জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।
সুত্র- উইকিপিডিয়া,নিউইয়র্ক টাইমস।