প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে যে জিনিসটি আমাদের সঙ্গে থাকে তা হলো জুতা। যেখানেই থাকুন আর যে পরিবেশেই থাকুন পায়ে যদি আরামদায়ক জুতা না থাকে তবে আপনি কোথাও আরাম করে সময় কাটাতে পারবেন না। ক্লাস, ইন্টারভিউ, কোথাও ঘুরতে যাওয়া অথবা প্রতিদিনের অফিস- একেক জায়গায় আপনার পোশাক যেমন ভিন্ন তেমনই আপনার পায়ের জুতাজোড়াও হয়ে থাকে ভিন্ন। তাই যখনই জুতা পরবেন পোশাকের সাথে তা মানিয়ে নিন আগে।
টি-শার্ট, জিন্স বা ট্রাউজার পরলেন অথচ পায়ে থাকল চটি, বুট কিংবা কাবলি সু, তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য মানানসই হলো না। আবার হয়তো ঈদের অনুষ্ঠান কিংবা বাঙালি ঘরানার অনুষ্ঠান, সেখানে আপনার পরনে একেবারে খাঁটি বাঙালিয়ানার পোশাক, এখানে চটি কিংবা নাগরা জুতা ছাড়া আপনার সাজসজ্জাই মাটি হয়ে যাবে। মেয়েরাও যখন এসব জায়গায় যায় তখন পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতো পরতে হবে। যেমন শাড়ি পরে গেলে সেক্ষেত্রে চটি জুতাতেই ভালো লাগবে আপনাকে। আর সালোয়ার কামিজ কিংবা শার্ট-প্যান্ট কিংবা ফতুয়া পরলে সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের হিলই মানাবে।
হয়তো চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে সময় যখন আপনি শার্ট-প্যান্ট পরলেন সেখানে আপনার পুরো লুকটাইকে কিন্তু একটা স্মার্ট সমাধান দিতে পারে একমাত্র বুটজুতা। ইন্টারভিউর ক্ষেত্রে মেয়েরা সাধারণত শাড়ি পরেই যায়। তখন মেয়েদের অবশ্য শাড়ির সঙ্গে চটি জুতোই মানানসই। আবার অফিসের বড় কর্তা হয়ে মনে করলেন, যেকোনো সাজই আমার জন্য যথেষ্ট। এমনটা ভাববেন না এখানেও আপনার পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতা পরুন। শার্ট প্যান্ট ইন করলে অবশ্যই বুটজুতা পরবেন। পাঞ্জাবি পাজামার সাথে আবার বুট পরবেন না। এখানে মানানসই একজোড়া চটি জুতা পরুন।
অন্যদিকে হাওয়াই চপ্পলও কিন্তু বেশ আরামদায়ক। কিন্তু এ হাওয়াই চপ্পল কিছু সীমিত জায়গায় ব্যবহার উপযোগী। তাই হাওয়াই চপ্পল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রক্ষা করবেন। না বুঝেই যেকোনো কালারের জুতা কিনবেন না। ভেবে নিন কোন কোন রঙের জামার সাথে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই রঙ বুঝে জুতা কিনুন, যাতে একের বেশি পোশাকের সাথে তা বেমানান না হয়ে যায়।