যারা সন্তানকে স্তনের দুধ খাওয়ান তাদের কয়েকটি বিষয় জানা থাকা উচিত। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকটি তথ্য।
১. মায়ের দুধ সব সময় সাদা নয়
সাধারণত মায়ের দুধ সাদা বা ক্রিম রঙের হয়ে থাকে। তবে এটা সব সময় নয়। মাঝে মাঝে তা সবুজ, নীল, হলদে বা কমলা রঙেরও হতে পারে। এ দুধের ঘনত্বও পরিবর্তিত হয়।
২. একটি স্তনে বেশি দুধ হয়
আপনার দুই হাত যেমন দুই রকম, তেমন দুটি স্তনও ভিন্ন। এর একটিতে বেশি এবং অন্যটিতে কম দুধ হতে পারে। তাই সন্তানকে দুধ দেয়ার সময় বিষয়টি লক্ষ করলে ভালো হয়।
৩. সন্তানকে দুধ দানের সময় বড় স্তন
স্বাভাবিক অবস্থায় একজন নারীর স্তনের যে আকার থাকে, সন্তান ধারণ করার পর তা পরিবর্তিত হয়। সন্তানকে দুগ্ধদান শুরু করলে এর আকার হয় সবচেয়ে বড়। এর মাত্রা নির্ভর করে আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার ওপর। এর ওপরই নির্ভর করে সন্তানকে দুধ দান বন্ধ করার পর স্তন আগের অবস্থায় যাবে নাকি কিছুটা বড় থাকবে।
৪. শুধু স্তনবৃন্ত দিয়েই দুধ নয়
স্তনবৃন্তের একটি মাত্র ছিদ্র দিয়েই দুধ নির্গত হয় না। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে থাকে দুধ নির্গত হওয়ার ছিদ্র।
৫. নিজে নিজেই নির্গত হতে পারে দুধ
অনভিজ্ঞ মায়েদের প্রায়ই এমনটা হতে দেখা যায়। বিশেষ করে সন্তান যদি কান্নাকাটি করে কিংবা সন্তানের দিকে তাকিয়ে থাকলে নিজে থেকেই স্তনের দুধ নির্গত হতে পারে। এছাড়া বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় হয়ে গেলেও এমনটা হতে পারে।
৬. যৌনতা কষ্টকর হতে পারে
এস্ট্রোজেন হরমোনটির অভাবে স্তন্যদানকারী মায়েদের যোনীপথে শুষ্কতা তৈরি হতে পারে। এতে অনেক সময় যৌনতা কষ্টকর অনুভূতি দিতে পারে।
৭. অতিরিক্ত দুধ হতে পারে
কোনো কোনো মায়ের অতিরিক্ত দুধ উৎপাদিত হতে দেখা যায়। এ ছাড়াও কারো স্তন থেকে ফিনকি দিয়ে দুধ বের হওয়ার প্রবণতা থাকে। এক্ষেত্রে সন্তানের অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ দান শিখে নিতে হয়।
৮. মানসিক উত্থান-পতন হয়
সন্তানকে দুগ্ধ দান করলে মায়ের দেহের হরমোনজনিত কিছু পরিবর্তন হয়। এতে অক্সিটোসিন নামে একটি হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়াও কিছু নারী দুর্বলতা, ঘাম, উদ্বেগ, পিপাশা ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন।
৯. মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম প্রয়োজন নেই
গরুর দুধ পান করলেও তা মায়ের দুধ সেভাবে বাড়াবে না। শিশুকে স্তনের দুধ পান করালে তাতে মায়ের দেহের হাড় হালকা হয়ে যায়। অবশ্য সন্তান বড় হওয়ার পর এটি বন্ধ করলেই তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
১০. যৌনতায় লিক হতে পারে
যৌনতার ফলে স্তন্যদানকারী মায়ের স্তন থেকে সামান্য দুগ্ধ বের হতে পারে। তবে এতে অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নেই।
১১. বাড়তি খাওয়া
শিশুকে স্তন্য পান করানোর জন্য একজন মায়ের দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালরি বাড়তি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়। এজন্য বাড়তি কোনো টেনশন না নিয়ে নিজের শরীরের চাহিদামতো কাজ করলেই চলে। অর্থাৎ ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে, ক্ষুধা না লাগলে খেতে হবে না।
১২. পিরিয়ড বন্ধ হতে পারে
সন্তানকে স্তন্য দান করা হলে তার ফলে কখনো কখনো মায়ের পিরিয়ড বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এতে উদ্বেগের কিছু নেই।
সূত্র- ফক্স নিউজ।