কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ
নারী সংবাদ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনবাওগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে । ঘটনার পর ওই গার্মেন্টস কর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আহসানউল্লা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ৭ জনকে আসামি করে ওই গার্মেন্ট কর্মী বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজহারে বাদি উল্লেখ করেন, গার্মেন্ট কর্মী রূপগঞ্জের রবিন গার্মেন্টে তিনি কর্মরত। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গার্মেন্টের সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। ওই সময়ে জাহাঙ্গীর নামের এক অভিযুক্ত ধর্ষক পেছনের সিটে বসা ছিল। গাউছিয়া যাওয়ার পর ওই গার্মেন্ট কর্মী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে পেছনের সিটে বসা জাহাঙ্গীর তাকে বাঁধা দেয়। পরে সিএনজি চালককে সিএনজিটি দ্রুত গতিতে সোনারগাঁওয়ের তালতলার দিকে চালিয়ে যেতে বলে। ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কথা মতো চালক গাড়িটি চালিয়ে যায়। এসময় ওই গার্মেন্ট কর্মীর মুখে সাদা রঙের কসটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে গভীর রাতে ব্রাহ্মনবাওগা গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজউদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ওই গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর পালাক্রমে ধষর্ণ করে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
পুলিশ অসুস্থ ওই গার্মেন্ট কর্মীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় ওই গার্মেন্ট কর্মী বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.আহসানউল্লাহ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত।