সমাজের সবক্ষেত্র, সব ধরনের কাজ এখন নারীর বিচরণক্ষেত্র। স্বাস্থ্যসেবা, বিজ্ঞান কিংবা ব্যবসায়ের নানা ক্ষেত্রে নারীর এমনই কিছু প্রতিকৃতি ইমোজির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন গুগলের একদল প্রকৌশলী। নারীদের শক্তি এবং পৃথিবীতে তাঁদের অবদান সম্পর্কে জানানোই এর উদ্দেশ্য। কিন্তু এত কিছু থাকতে ইমোজি কেন বেছে নিলেন তাঁরা? ১৬ থেকে ২৪ বছরের নারীদের ৮২ শতাংশ ইন্টারনেট যোগাযোগে ইমোজি ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে এই তরুণীদের জন্যই এই ইমোজিগুলো।
গুগল প্রকৌশলীদের তৈরি ১৩টি ইমোজি সম্প্রতি ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে উপস্থাপন করা হয়। এই কনসোর্টিয়াম ঠিক করে কোন কোন ইমোজি ওয়েবসাইটে লেখার সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে।
স্মার্টফোন এবং ওয়েবসাইটে ইদানীং ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। একটি ছবিতে একসঙ্গে অনেক কথা বলা হয়ে যায়। জাপানি ই (ছবি) এবং মোজি (অক্ষর) শব্দ দুটির সমন্বয়ে তৈরি ‘ইমোজি’ ২০১৩ সালে দ্য অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে যুক্ত করা হয়েছে। ১১ মার্চ মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর সম্পাদকীয় পাতায় ওহিও ওয়েজলিয়ান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অ্যামি বুচারের ‘ইমোজি ফেমিনিজম’ শিরোনামে লেখা বিশেষজ্ঞ মতামত এই গুগল কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গুগলের নকশায় প্রযুক্তি, নির্মাণশিল্প, কৃষি এবং খাদ্য তৈরিতে নারী প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রয়াত ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা ও প্রযোজক ডেভিড বাওয়ির স্মরণে নারী সংগীতজ্ঞ ইমোজি বানানো হয়েছে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের অনুমোদনক্রমে নতুন ইমোজি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। গুগল প্রকৌশলীদের তৈরি এই ইমোজিগুলো তাতে স্থান পাবে কি না, তা এখনই জানার উপায় নেই।
সূত্র: বিবিসি
কর্মজীবী নারীদের ইমোজি
Facebook Comments