banner

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 952 বার পঠিত

 

কম খরচে ঘরকে করুন আলোকিত

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত শক্তির অপচয় রোধে কতকিছুই তো করছেন আপনি। কিন্তু একবারের জন্যেও ঘরের বাতিটির কথা ভাবছেন কি? আপনার ঘরের বাল্ব বা আলোর মাধ্যমটি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী? আচ্ছা, বিদ্যুৎ খরচের কথা নাহয় নাইবা ভাবলেন, একবার কি ভেবেছেন এই আলোর মাধ্যমটি পকেট সাশ্রয়ী কিনা? আপনার অনেকটা বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে না তো ভুল উপায়ে ঘরকে আলোকিত করতে গিয়ে? চলুন জেনে আসি কম খরচে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ঘরের আলোর মাধ্যম বেছে নেওয়ার কিছু পদ্ধতি।

১. সঠিক বাল্ব বেছে নেওয়া

বাজারে এখন অত্যন্ত কম দামে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব বা এনার্জী সেভিং বাল্ব কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো আপনার বাড়ির অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচকে যেমন থামিয়ে দেবে, তেমনি কমিয়ে দেবে পকেটের খরচাটাও। সাধারণত ঘরের আলোর পেছনে সাংসারিক খরচের ৫ শতাংশ টাকা চলে গেলেও এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োডস), সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প) বা হ্যালোজেন ইনক্যানডেসেন্টসহ বাজারে আসা উন্নতমানের বাল্ব কিনে সেই খরচটা কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। পুরোন ঘরানার বাল্বগুলোর ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ শক্তি তাপ হয়েই বেরিয়ে যেত। সেই পরিমাণটাকে কমিয়ে দেয় এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব। সেইসাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত মাত্রার আর রংয়ের আলো বেছে নেওয়ার সুযোটাও দেয়।

২. প্রাকৃতিক আলোর উপর নির্ভরতা বাড়ান

শক্তির বিনাশ নেই বটে। তবে সেটার পরিমাণ দেশভেদে ভিন্ন। নবায়নযোগ্য শক্তি আছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের উচিত সেইদিকে না তাকিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে যতটা সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করা যায় সেই চেষ্টা করা। আর তাই দিনের বেলায় ঘরের আলো যাতে না জ্বালানো থাকে সেটা খেয়াল করুন। কখনো কখনো দিনের বেলাতেও দুই-তিনটি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখেন অনেকে। হয়তো অনেকটা অসচেতনভাবেই। কিন্তু এবার থেকে সচেতন হয়ে উঠুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যারেজ আর সিড়ির লাইট বন্ধ করুন। ঘরের ক্ষেত্রেও যতটা সম্ভব লাইট না জ্বালানোর চেষ্টা করুন।

৩. আনুষঙ্গিক শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার

লাইটের সাথে ডিমার, ফটোসেল বা টাইমারের মতন যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো দরকার মতন আলোকে কমাতে বাড়াতে বা ব্যবহার না হলে বন্ধও করে দিতে পারে। তবে চেষ্টা করুন যে বাল্বটি ব্যবহার করছেন তার সাথে মানানসই কিছু একটা বেছে নেওয়ার।

তবে গ্যারেজ বা বাইরে খোলামেলা পরিবেশের জন্যে সেই সিএফএল বা এলইডি লাইটটি ব্যবহার করুন যেটা বাইরের পরিবেশের জন্যে মাননসই। বাজারে এমন কিছু সিএফএল ও এলইডি বাল্ব পাওয়া যায় যেগুলো বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম- সবকালেই থাকবে ঠিকঠাক। সেইসাথে কম খরচে চলবেও অনেকদিন। অসচেতন ব্যবহারে প্রতিদিন ঘরের আলোর পেছনে আমাদের যথেষ্ট বিদ্যুৎ আর টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই ঘরের আলো নির্ধারণের আগে এই সব ব্যাপারগুলো মাথায় রাখুন।

Facebook Comments