banner

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 916 বার পঠিত

'কন্যা মানেই বোঝা নয়, করবে তারা বিশ্ব জয়'

Daughterআজ ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। অন্যান্য বছরের মতো এবারো দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘কন্যা মানেই বোঝা নয়, করবে তারা বিশ্ব জয়’।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, আমাদের কন্যাশিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত্। তারা আমাদের কন্যা-জায়া-জননী। তাই তাদের নিরাপদে বেড়ে ওঠা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষা করা অত্যাবশ্যক। কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানসহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন, নীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণসহ তাদের শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী রূপে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে, কন্যাশিশুরা যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মানসম্মত শিক্ষা ও নিরাপত্তা পায়, তবে তারা উপার্জনক্ষম এবং স্বাবলম্বী নারী হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবে। আসুন দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আমাদের কন্যাশিশুর অধিকারকে সমুন্নত এবং তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় সচেতন হই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, শিশু অধিকার রক্ষায় প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শিশু নীতি। কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তাদের সুরক্ষার জন্য দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কিশোরী ক্লাব। শিশুবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে কন্যাশিশুর সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে গত সাড়ে চার বছরে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আগামী দিনের বাংলাদেশের কন্যাশিশুদের নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সমসুযোগ প্রদানে এগিয়ে আসার জন্য আমি সরকারের পাশাপাশি সমাজের সবাকে আহ্বান জানাই।

রোববার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এ বছর আমরা কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। দেশে কন্যাশিশুদের নিয়ে কাজ করে প্রায় ১৬২টি সংগঠন। তারা দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। দিবসটি পালনে কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহের কুফল, কন্যাশিশুর সুরক্ষা, কন্যাশিশুর পুষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে।

দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

Facebook Comments