অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : ঘুমের সমস্যায় কম-বেশি বেশির ভাগ মানুষই ভুগে থাকে। আর এর প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজকর্মে। রাতে ভালো ঘুম না হলে কোন কাজেও ভালোভাবে মন বসে না। ফলে সারাদিনটাই যেন মাটি হয়ে যায়। আবার দিনের পর দিন না ঘুমাতে পারলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শরীরকে ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। আবার অনেকেই ওষুধ ছাড়া ঘুমাতেই পারেন না। নিচের নিয়মগুলো মেনে চললে এবার ওষুধ ছাড়া তাদেরও ঘুম এসে যাবে।
এক. বিছানায় শুয়ে প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
ঘুমানোর সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো বিছানায় শুয়ে প্রার্থনা করা। এতে করে আপনার মানসিক উত্তেজনা কমবে। এমনকি মন-মানসিকতাও ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হবে। ফলে সহজেই আপনি ঘুমাতে পারবেন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘন্টা আগে মেডিটেশন করেন। এটি করলে শরীর ও মনে এক ধরনের প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়বে যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
দুই. ইতিবাচক চিন্তা করুন:
বিছানায় শুয়ে সবসময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করলে কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কিছু লেখার চেষ্টা করলে মনে একটা প্রশান্তি চলে আসে। এতে করে তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।
তিন. মানসিক চাপের কারণ বের করার চেষ্টা করুন:
দেখা যায়, কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে অনেক সময় মনটা অশান্ত হয়ে ওঠে। আবার কোন কাজ করতে গিয়ে কষ্ট পেলেও দিনের বেশির ভাগ সময়ই তা আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয় না। ফলে মনটা খারাপ থাকে যার প্রভাব পড়ে রাতের বেলা ঘুমাতে গেলেও। তাই বিছানায় শুয়ে আগে কি কারণে মনের উপর বড় প্রভাব পড়লো তার কারন খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। তাতে মনে শান্তি চলে আসবে যা ঘুমে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
চার. শোবার ঘর ঠাণ্ডা রাখুন:
অতিরিক্ত গরমে ঘুম নাও হতে পারে। তাই ভালো ঘুমাতে চাইলে সবসময় রুম ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন কখন ঘুমের মাঝে তলিয়ে গেছেন তা নিজেও জানেন না।
পাঁচ. বাতি বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন:
অনেক সময় অন্ধকারে ভালা ঘুম এসে যায়। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য কোন ওষুধ না খেয়ে শোবার ঘরের বাতি নিভিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনি একদিন সফল হবেনই।
ছয়. ঘুমানোর সময় ফেসবুক কিংবা মেইলে ঢুকবেন না:
কেউ কেউ রাতের বেলা ঘুম না আসলে ফেসবুক বা মেইলে ঢোকেন। এতে করে ঘুম আসে না, বরং পালিয়ে যায়। কাজেই ঘুমাতে যাওয়ার সময় এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
সাত. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন:
প্রতিদিন ঘুমানোর একটি নির্দিষ্ট সময় করে নিন এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে ওষুধ ছাড়াই সময়মতো আপনার ঘুম এসে যাবে।
আট. ঘুমানোর আগে পরের দিনের কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন:
কাজ গোছানো থাকলে অনেক শান্তি লাগে। তাই পরের দিনে আপনি কি কি কাজ করবেন তা মাথায় গুছিয়ে রাখুন। তাহলে সহজেই ঘুম এসে যাবে।
ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা এখনই ছাড়ার চেষ্টা করুন। কারণ এটি সাময়িকভাবে আপনার ঘুম এনে দিলেও জীবনের ঝুকিঁ বয়ে আনে। তাই উপরের নিয়মগুলো মেনে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।