অপরাজিতা ডেস্ক: মানবাধিকার সমুন্নত রাখ, মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা কর এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬৮টি নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারী অধিকার রক্ষা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে। কিন্তু পাশাপাশি গুম, হত্যাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর নির্যাতন চলছে।
আমরা লক্ষ্য করছি নির্যাতনকারীকে যখন আমরা আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি, তখনই তা আর পারা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র, প্রশাসন নিজে যদি আইন প্রতিষ্ঠা না করে, আইন মেনে না চলে তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। যে তরুণী নিয়ে আমরা এমডিজির প্রশংসাপত্র নিয়ে আসছি, সেখানে তারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমাদের আলোর পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য পরিবারে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সব শ্রেণীপেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা বলেন, আদিবাসী নারীদের ওপর নির্যাতন যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা উদ্বেগজনক। ২০১৪-এর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আদিবাসী নারীদের ওপর নির্যাতনের ২১টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৪টি ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং বাকিগুলো বিভিন্ন জায়গায়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সংবিধানে এখনও আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
আইন সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপ-পরিচালক অ্যাডভোকেট রওশন জাহান পারভীন বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনের জন্য আমরা কখনও একক কখনও বা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সংবিধান আমাদের মানবাধিকার দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ক্রমাগত তা খর্ব হচ্ছে।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.