অপরাজিতা ডেস্কঃ হেডফোনে মিউজিক শোনাটা এখনকার জেনারেশনদের জন্য ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে,কিন্তু তার মাত্রা টা আসলে কতোটুকু হলে কানের জন্য ক্ষতিকর কর হবে না এ ব্যাপারে অনেকটাই অসচেতন সবাই। আমাদের আজকের আয়োজনে তাই থাকছে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত,
বিশ্বের ১ শত কোটির বেশি তরুণদের লাউড মিউজিক শোনার কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন একটি উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলেছে, যাদের লাউড মিউজিক শোনার কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের অর্ধেকের বয়স ১২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এবং এরা প্রায় সবাই উচ্চ আয়ের পরিবারের ছেলে-মেয়ে। অবশিষ্ট ৪০ ভাগ তরুণের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কনসার্ট এবং নাইট ক্লাবের লাউড মিউজিক থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিয়ারিং ইম্পেয়ারমেন্ট বিশেষজ্ঞ শেলি চাধা তরুণদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটা মনে রাখা দরকার যে, শ্রবণশক্তি বা শ্রবণযন্ত্র একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।
ইউএন হেলথ এজেন্সির মতে শব্দস্বরের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেল-এর উপরে গেলে এটা নিরাপদ নয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও যে উদ্বেগজনক তথ্যটি দিয়েছে তা হচ্ছে, ট্রাফিক নয়েজ থেকেও শব্দ দূষণ হতে পারে যা লাউড মিউজিকের মতই ক্ষতিকর। এমনকি পারসোনাল অডিও ডিভাইস থেকেও শ্রবণশক্তি নষ্ট হচ্ছে এমন তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্প আওয়াজ দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার বেশি পারসোনাল অডিও ডিভাইসও ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য পাবলিক প্লেসে বা জনবহুল স্থানে যাতে উচ্চ আওয়াজের মিউজিক বাজানো না হয় তার জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপের ওপর জোর দিয়েছে। আর ইউএন এজেন্সির মতে বিশ্বের অন্তত ৩৬০ মিলিয়নের বেশি লোক কোন না কোনভাবে লাউড নয়েজের কারণে শ্রবণ শক্তি হ্রাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
লেখক :ডা.মোড়ল নজরুল ইসলাম। চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ।
Facebook Comments