অপরজিতাবিডি ডটকম, মুন্সিগঞ্জ: জেলার শ্রীনগরে কলেজছাত্রী ইয়াসমিনের আত্মহত্যার পরও ধর্ষণের মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সালিশকারীদের প্রভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল বেলা এগারটার দিকে খাহ্রা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শ’ শ’ ছাত্রছাত্রী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে বাড়ৈখালী গ্রামে এসে ইয়াসমিনের ধর্ষক সালামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
এ সময় তাদের সঙ্গে ঐ গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে লম্পট সালাম ও ধর্ষণের ঘটনাটি সালিশ করে ধামাচাপা দেয়া টাউট সালিশকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। আলোচিত স্কুলছাত্রী সিনথিয়ার আত্মহননের পর একই এলাকায় ফের এ ঘটনায় থানা পুলিশ ধর্ষক ও সালিশকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা নেয়ায় এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, ময়না তদন্তে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ হলে ধর্ষণের মামলা নেয়া হবে। অপরদিকে শ্রীনগর সার্কেলের এএসপি মিয়া মো. কুতুবুর রহমান চৌধুরী জানান, ধর্ষণের তিনদিন পর মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তাই ধর্ষণের আলামত নষ্টকারী সালিশদারদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গত বুধবার রাত আটটার দিকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ইয়াসমিন (১৮)কে ধর্ষণ করে তারই বাবার বন্ধু একই গ্রামের সাত সন্তানের জনক সালাম (৫৫)।
এ সময় ইয়াসমিনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে সালামকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এর পরপরই ঐ বাড়িতে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ইউপি সদস্য জাহের মোড়ল, কালাম মেম্বার, হেলাল মাতবর, সিরাজুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে সালিশ বসে। সালিশে সালামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে ইয়াসমিনকে গালমন্দ করে গ্রাম্য সালিশদাররা। এতে ক্ষোভ ও অপমানে শুক্রবার সকালে ইয়াসমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১২ঘন্টা২০১৪/এ