ঘরে বসে অনলাইনের অলিগলি ঘুরে আয় করে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত “কাজী আফিয়া আহমেদ”। তাঁর পেজ ‘ত্রি নিতী’ দিয়ে ২০১০ সালে অনলাইন ব্যবসায় আফিয়ার যাত্রা শুরু। যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তার খাতায় নাম আছে।
শুরুটা জানতে চাইলে তিনি জানান, HSC এর পর অবসর সময়ে তিনি প্রথমে ভাবতেন অযথা অনলাইনে সময় ব্যয় না করে কীভাবে তার এই অনলাইন জগতকে কাজে লাগানো যায়। ভাবলেন নিজের অনলাইনের বিলটি কীভাবে অনলাইন দিয়েই আয় করা যায়। সেই ভাবা অনুযায়ী টুকটাক জুয়েলারি এবং মেকাপ সামগ্রী বিক্রি দিয়ে নিয়ে ‘ত্রি নীতি’ গ্রুপটির যাত্রা শুরু করেন, যার লাইকের সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়াও তিনি খেয়াল করলেন তার নিজের ডিজাইন করা পোশাকটি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এরপর তিনি কামিজ, নিজের পছন্দনীয় শাড়ি ডিজাইন শুরু করলেন, যাতে কখনো এমব্রয়ডারি বা কারচুপির কাজ থাকে এবং সেগুলো গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে লাগলেন ‘বেস্ট এমব্রয়ডারিজ ঢাকা বাই আফিয়া’, ‘ইম্পোর্টেড শাড়িস বাই আফিয়া’ ইত্যাদি গ্রুপের মাধ্যমে এবং আবারো সাড়া পেতে থাকলেন। বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি তার সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিতেন ক্রেতাদের দোরগোড়ায়।
শুধু নিজের ডিজাইন করা ড্রেসে আর সীমাবদ্ধ থাকেননি আফিয়া। তিনি দেখলেন বিভিন্ন তারকাদের রেপ্লিকা ড্রেস ভালোলাগে এবং এদেশে বেশ চাহিদাও রয়েছে। তাই দেশের বাইরে থেকে যেমন পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে শিপিং এর মাধ্যমে রেপ্লিকাসহ নানা ডিজাইনের বিভিন্ন ড্রেস আনতে লাগলেন এবং তার গ্রুপের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে লাগলেন। এভাবেই তিনি ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এবং নিজের চিন্তাধারা থেকে হরদম ইমপোর্ট করে যাচ্ছেন। সাথে নিজের ডিজাইন তো রয়েছেই। তার মাসিক আয় এখন ন্যূনতম ৩০০০০ টাকা। যা যেকোনো ছেলে বা মেয়ের বেকারত্ব ঘোচাতে পারে।
তার নির্ধারিত ড্রেস শোভা পেয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকার পরনেও। যেমনঃ মেহের আফরোজ শাওন, আলিফ আলাউদ্দিন, বেনজির ইসরাতসহ আরো অনেকের।
তার সামনের ইচ্ছা একটি শো-রুম খোলা কিন্তু পুরোটাই নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। ইন্টারনেটের অযথা ব্যয়কে আয়তে রুপান্তরের আহবান জানান কাজী আফিয়া। শুধু দরকার সততা, ধৈর্য এবং প্রবল মনোবল।