banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2783 বার পঠিত

 

“আমাকে পারতেই হবে”


ফাতেমা শাহরিন


স্টুডেন্ট অবস্থায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নাম লিখেছে অনামিকা দাশ। তার প্রতিষ্ঠানের নাম “কন্যে কারিগর”। “কন্যে কারিগর” এ রয়েছে, হাতের তৈরী চুড়ি, বালা, নেকলেস, ব্রেসলেট, কানের দুল ঘর সাজানোর পন্যসহ নানা রকম আইটেম। যার পুরোটাই অনামিকা দাশ নিজ হাতে করে থাকেন। প্রতিটি কাজই স্বপ্ন, স্বপ্নীল মনের বর্ণিল রং, ছবি আঁকে তার প্রতিটি সৃষ্টি।
তিনি একজন স্টুডেন্ট, পড়াশুনা মৃৎশিল্প, মাস্টার্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন।পড়াশুনার ব্যস্ততার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন এই সাহসী নারী।

ছোট বেলা থেকেই তার আকাঁ-আকিঁ ক্রাফ্টিং এর প্রতি অনেক শখ ছিল। বড় হওয়ার পর তার ইচ্ছাটা স্বপ হয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। আর তা হলো, নিজের কিছু করতে হবে এবং একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হতে হবে। আর তাই উদ্যোগ নেন একাই।

গত বছরের জুনের ৩১ তারিখে ফেইসবুকে “কারিগর…..” গ্রুপটি খুলেন। প্রথমে তিনি কাঠের উপর হ্যান্ড পেইন্ট করা গহনা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ভগবানের কৃপায় বেশ সাড়া পান।এর কিছু দিনপর একটা ফেইসবুক পেইজ খুলেনন তিনি আর নাম দেন “কন্যে কারিগর”। এভাবেই যাত্রাশুরু হয় অনামিকা দাশের “কন্যে কারিগর”।

গয়নার পাশাপাশি ঘর সাজানোর কিছু পন্য হাতে বানানো শুরু করেন,তাছাড়া হ্যান্ড পেইন্ট করা পাঞ্জবীও তৈরী করেন।

কাজের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতাও ছিল অনামিকার। যেহেতু অনামিকা ভার্সিটির হলে থাকতেন তাই তিনি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পেতেন না। তবুও গ্রাহকের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী কাজ করে সঠিক সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।তাছাড়া পন্য ডেলিভারী দেওয়া নিয়েও অনেক সময় সমস্যার মুখে পরতে হয় তাকে।

যেহেতু তিনি এখনও ছাত্রী তাই পন্যের দাম এমন ভাবে নির্ধারন করার চেষ্টা করেন যাতে সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

গহনা ৬০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে।আর পাঞ্জবী ১০০০টাকা থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। তার ব্যবসাটি এখন শুধুমাত্র অনলাইন ভিত্তিক। অনামিকার চাকরি করার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। আর তাই নিজ উদ্যোগেই স্বল্প পুজিঁ বিনিয়োগ ব্যবসাটি শুরু করেন।

অনামিকার মতে, ‘কোন মেয়ে যদি স্বনির্ভর হতে চায় তবে তার নিজ উদ্যোগটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ভবিষ্যতে একটি সমবায়সমিতির মাধ্যমে গ্রামের অস্বচ্ছ পরিবার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে অনামিকার।

তার ভাষ্য মতে, “একজন নারী হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, আমাকে পারতেই হবে আর যদি ভয় বা পিছিয়ে পরি তাহলে হেরে যাবো। আমাকে আমার কাঙ্খিত অবস্থান অর্জন করতেই হবে এই মনোভাব টাই সব সময় হৃদয়ে ধারণ করি।”

 

ছবিঘর:

১.

২.

৩.

 

Facebook Comments