banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 753 বার পঠিত

 

আব্বার ঈদ

মনির মোহাম্মদ


আমার পিতা শিক্ষক মানুষ। একজন আদর্শ শিক্ষক বলতে আমরা যা বুঝি উনি ঠিক তাই। সুযোগ পেলেই সন্তানদের বই কিনে দিতেন। আর কিছুদিন পর পর বলতেন ঐ গল্পের সেই কথাটা মনে আছে। আমরা মনে না থাকলেও বলতাম হ্যা হ্যা হ্যা মনে আছে। আব্বা সব সময় বলেন শুধু পড়লে হবে না, বুঝে পড়তে হবে। তবেই দেশ আলোকিত হবে। মুখস্ততো ময়না পাখিও করে।
আমরা ভাই বোনরা বই পড়া শিখেছি পিতার কাছ থেকে। আমার পিতা একজন বোদ্ধা পাঠক। আমার প্রথম গল্পের বই নীলাদ্রির সবচেয়ে বড় সমালোচক আব্বা । আব্বা নাকি আমার বই পড়ে মুগ্ধ হয়েছে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর নেই আমার জীবনে। এবার আসুন মূল গল্পে যাই।
প্রতি ঈদেই আব্বাকে কিছু দিলে কেন জানি তার সাইজ মিলেনা, সাইজ মিললে আম্মা বোনদের কাররই পছন্দ্র হয়না। অবশেষে ঈদের শপিং এর দায়িত্ব নিল আম্মা আর আমার বোনরা এবং আমারটা সহ, আমি এখন চিন্তা মুক্ত সাইজ আর পছন্দ্র নিয়ে ঝামেলা নেই ,আমি আমার শব্দ খুঁজায় ব্যাস্থ থাকতে পারি।
গতকাল রাত্রে একটা মেসেজ দিল আব্বা আমার মোবাইলে, তখন প্রায় দু’টো বাজে। মেসেজে একটা লিস্ট। লিস্ট দেখে আমি অবাক, একটা বিরাট বইয়ের লিস্ট। এত বই একদিনে কোথায় পাব? তার উপর কিছু উপহার এর বইও আছে। হাতে সময়ও কম। বিকালেই ছুটলাম বই এর খুঁজে। অবশেষে সারা ঢাকা শহর তন্নতন্ন করে খুঁজে অবশেষে সবগুলো বই কিনে আব্বাকে মেসেঞ্জারে ছবি পাঠালাম। আব্বা খুশি এবং বিরাট খুশি! এবার ঈদ কাটবে আমাদের বাপ-বেটার বই পড়ে ইনশাআল্লাহ্‌!
সবাই ভাল থাকবেন,
ধন্যবাদ,

ম নি র মো হা ম্ম দ
তরুন কথা সাহিত্যিক।

Facebook Comments