* আপেলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ১০০ গ্রামের তাজা ফল টুকরা মাত্রা ৫০ ক্যালরি প্রদান করে। আপেলে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কলস্টেরল থাকে না। তবুও এ ফল অন্ত্রে খাদ্য তালিকাগত এলডিএল বা খারাপ কলস্টেরল শোষণ প্রতিরোধে সাহায্য কমে। এটি খাদ্য তালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ।
*আপেল অ্যান্টি-অক্সিজান্ট, ফ্লাভোনডিস এবং পলিফোনোলিসক্স সমৃদ্ধ। এসব উপাদানে শরীরের মৌলে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
* আপেল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বিটা-কেরোটিন’ সমৃদ্ধ। ভিটামিন ‘সি’ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিজান্ট। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার শরীরের বিভিন্ন সংক্রামকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর প্রো-প্রদাহজনক মৌলে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
* আপেল থিয়ামিন এবং পাইরিডক্সিন হিসেবে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স এর ভালো উৎস। একসঙ্গে এ ভিটামিন শীরের ভেতর বিপাক এনজাইম হিসেবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন কৃত্তিম ফাংশনে সাহায্য করে।
* আপেল সামান্য পরিমাণ খনিজ, যেমন- পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম শরীরের কোষ এবং তরল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা হার্ট রেট এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একইভাবে সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।
নির্বাচন এবং সংরক্ষণ : সমৃদ্ধ গন্ধ, তাজা, উজ্জ্বল দৃঢ় গঠনের আপেল নির্বাচন করা ভালো। গায়ে দাগযুক্ত আপেল পরিহার করাই ভালো।
টাটকা আপেল সাধারণ তাপমাত্রায় সপ্তাহখানেক ভালো থাকে। তবে রেফ্রিজারেটরে রাখলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
ব্যবহার : ভালো স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পেতে হলে আপেলের উপরের আবরণসহ খেতে হবে।
* আপেল কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাদামি বর্ণ ধারণ করে। তাই কাটার পরপরই পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ধুয়ে নিন।
* আপেল ফলের জ্যাম, পিঠা এবং সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।