প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করতে আপনাকে কেউ কি বারণ করেনি? প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহৃত নানা উপাদান মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব প্রসাধনীর কোনোটিতে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
প্রসাধন সামগ্রীর মাঝে রয়েছে বহু ক্ষতিকর উপাদান, এ উপাদানগুলোর কয়েকটি তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।
প্রসাধন সামগ্রীর মাঝে রয়েছে বহু ক্ষতিকর উপাদান, এ উপাদানগুলোর কয়েকটি তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।
১. প্যারাবেন
পাওয়া যায় : ময়েশ্চারাইজার, স্কিন স্ক্রাব ও ডিওডোরেন্টে।
প্যারাবেন উপাদানটি সাধারণত কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে ‘প্রিজারভেটিভ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘এ মিশ্রণ হরমোনের কাজ ব্যাহত করে। এর ফলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ছাড়াও রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিসিটি, ইমোউনটক্সিসিটি ও নিউরোটক্সিসিটির সম্ভাবনা বাড়ে।
এ পদার্থটি কিভাবে দেহের এমন ক্ষতি করতে পারে? যখন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের সংস্পর্শে আসে তখন প্যারাবেন ত্বকের মাধ্যমে দেহের ভেতর প্রবেশ করে এবং রক্তকনিকার সঙ্গে মিশে যায়।
পাওয়া যায় : ময়েশ্চারাইজার, স্কিন স্ক্রাব ও ডিওডোরেন্টে।
প্যারাবেন উপাদানটি সাধারণত কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে ‘প্রিজারভেটিভ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘এ মিশ্রণ হরমোনের কাজ ব্যাহত করে। এর ফলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ছাড়াও রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিসিটি, ইমোউনটক্সিসিটি ও নিউরোটক্সিসিটির সম্ভাবনা বাড়ে।
এ পদার্থটি কিভাবে দেহের এমন ক্ষতি করতে পারে? যখন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের সংস্পর্শে আসে তখন প্যারাবেন ত্বকের মাধ্যমে দেহের ভেতর প্রবেশ করে এবং রক্তকনিকার সঙ্গে মিশে যায়।
২. হাইড্রোকুইনন
পাওয়া যায় : ফেয়ারনেস ক্রিম ও ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে
হাইড্রোকুইনন এক ধরনের অ্যারোমেটিক অর্গানিক কমপাউন্ড।
ডারমাটোলজিস্ট ড. অমিত লুথরা বলেন, ‘হাইড্রোকুইনন থেকে মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বহুদিন ধরে এটির নিয়মিত ব্যবহার ত্বকে নীল-ধূসর বর্ণচ্ছটা দেখা দিতে পারে, যার কোনো চিকিৎসা হয় না।’
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকে এ উপাদানটির কারণে শ্বাসকষ্ট, বুকে যন্ত্রণা এবং মুখ ও জিহ্বা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। কিছু ক্ষেত্রে এ উপাদান ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের মেলানিন উৎপাদন ব্যাহত করার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ইউভিবি এ সমস্যা হতে পারে।
পাওয়া যায় : ফেয়ারনেস ক্রিম ও ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে
হাইড্রোকুইনন এক ধরনের অ্যারোমেটিক অর্গানিক কমপাউন্ড।
ডারমাটোলজিস্ট ড. অমিত লুথরা বলেন, ‘হাইড্রোকুইনন থেকে মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বহুদিন ধরে এটির নিয়মিত ব্যবহার ত্বকে নীল-ধূসর বর্ণচ্ছটা দেখা দিতে পারে, যার কোনো চিকিৎসা হয় না।’
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকে এ উপাদানটির কারণে শ্বাসকষ্ট, বুকে যন্ত্রণা এবং মুখ ও জিহ্বা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। কিছু ক্ষেত্রে এ উপাদান ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের মেলানিন উৎপাদন ব্যাহত করার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ইউভিবি এ সমস্যা হতে পারে।
৩. সোডিয়াম লউরেট সালফেট
পাওয়া যায় : শ্যাম্পু, বাবল বাথ পণ্য, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ।
এ উপাদানটির ভুল ব্যবহার করার কারণে আপনার মৃত্যুও হতে পারে। মূলত উপাদানটি ফেনা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
এ বিষয়ে ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘মানুষ যা জানে না তা হলো, এ উপাদানটি ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত করে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। আমরা এমন রোগীও পাই, যারা শরীরে এর বাজে প্রভাবের কারণে বিষণ্নতায়ও আক্রান্ত হন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, এ উপাদানটি কিছু টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশেও ব্যবহৃত হয়।
পাওয়া যায় : শ্যাম্পু, বাবল বাথ পণ্য, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ।
এ উপাদানটির ভুল ব্যবহার করার কারণে আপনার মৃত্যুও হতে পারে। মূলত উপাদানটি ফেনা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
এ বিষয়ে ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘মানুষ যা জানে না তা হলো, এ উপাদানটি ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত করে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। আমরা এমন রোগীও পাই, যারা শরীরে এর বাজে প্রভাবের কারণে বিষণ্নতায়ও আক্রান্ত হন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, এ উপাদানটি কিছু টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশেও ব্যবহৃত হয়।
৪. প্যারা-ফেনিলেনিডিয়ামিন, পারদ ও সীসা
পাওয়া যায় : হেয়ার ডাই, হেয়ার কালার, লিপস্টিক ও মাসকারা
আপনি নিজেই চুলে রং করুন কিংবা সেলুন থেকে করুন, যাই হোক না কেন প্যারা-ফেনিলেনিডিয়ামিন (Para-Phenylenediamine ) উপাদানটি থেকে সাবধান। এটি অনেক সময় বাজার থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাতকৃত মেহেদিতেও পাওয়া যায়।
এ উপাদানটি দেহের নানা ক্ষতি করে। এমনকি মস্তিষ্কের জন্যও এটি ক্ষতিকর। কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সারের জন্যও দায়ী।
ডার্মাটোলজিস্ট ড. স্বাতী শ্রীবাস্তব জানান, লিপস্টিকে এ উপাদানটি রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করুন। কিছু লিপস্টিকে সীসা থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। সামান্য পরিমাণে এ উপাদানটিও দেহের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানবদেহে সীসা বৈকল্য আনতে পারে। এতে শিক্ষা, ভাষা ও আচরণগত সমস্যা তৈরি হয়।
পাওয়া যায় : হেয়ার ডাই, হেয়ার কালার, লিপস্টিক ও মাসকারা
আপনি নিজেই চুলে রং করুন কিংবা সেলুন থেকে করুন, যাই হোক না কেন প্যারা-ফেনিলেনিডিয়ামিন (Para-Phenylenediamine ) উপাদানটি থেকে সাবধান। এটি অনেক সময় বাজার থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাতকৃত মেহেদিতেও পাওয়া যায়।
এ উপাদানটি দেহের নানা ক্ষতি করে। এমনকি মস্তিষ্কের জন্যও এটি ক্ষতিকর। কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সারের জন্যও দায়ী।
ডার্মাটোলজিস্ট ড. স্বাতী শ্রীবাস্তব জানান, লিপস্টিকে এ উপাদানটি রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করুন। কিছু লিপস্টিকে সীসা থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। সামান্য পরিমাণে এ উপাদানটিও দেহের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানবদেহে সীসা বৈকল্য আনতে পারে। এতে শিক্ষা, ভাষা ও আচরণগত সমস্যা তৈরি হয়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
Facebook Comments