banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 574 বার পঠিত

 

অভিমানী মনের আত্মদহন… ৬ষ্ঠ খন্ড

অভিমানী মনের আত্মদহন… ৬ষ্ঠ খন্ড


আফরোজা হাসান


শরীয়তের পরিভাষায়,ইসলামের বিধান অনুযায়ী নারী- পুরুষ প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ ঢেকে রাখার নামই হিযাব বা পর্দা। এখন কথা হচ্ছে, টপস-জিন্স/স্কার্ট ইত্যাদি পড়েও নির্ধারিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূকে ঢেকে রাখা সম্ভব। কিন্তু তাতে কি পর্দার উদ্দেশ্য রক্ষা করা হবে? আবরণ বা অন্তরাল কিসের জন্য? যাতে দর্শনে নারী-পুরুষের একে অন্যের প্রতি সহজাত আকর্ষণের সেতার স্পর্শিত না হয়। তুমি যদি এমন ড্রেস পড়ো যাতে তোমার শারীরিক অবয়ব বোঝা যায়, তাহলে কেবল মাত্র মাথা ঢাকা থাকার কারণে তোমাকে পর্দানশীল নারী বলা যাবে না। ড্রেসটাকে তোমার শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্যে অন্তরাল সৃষ্টি করার উপযোগী হতে হবে। এখন তুমিই ভেবে দেখো তুমি যেভাবে হিযাব করছো তাতে তোমার পরিপূর্ণ পর্দা হচ্ছে কিনা!
আমি বুঝতে পেরেছি আপি। ইনশাআল্লাহ আমি এখন থেকে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করবো।
আমার কথা শুনে কি মন কিছুটা খারাপ হয়েছে?
আফরা হেসে বলল, না আপি আপনি তো সঠিক কথাই বলেছেন। আবির যদি এভাবে বুঝিয়ে বলতো তাহলে তো এত বেশি কষ্ট হতো না আমার। বা মনে হতো না আমার সাথে বাড়াবাড়ি করছে।
আসলে সবার তো বুঝিয়ে বলার ক্ষমতা একরকম থাকে না। তাছাড়া আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে বাইরের মানুষকে বুঝিয়ে বললেও আপনজনদেরকে আমরা সেভাবে বুঝিয়ে বলার চাইতে হুকুম করতে বেশি পছন্দ করি। আন্তরিক ভাবে এটা করা উচিত না বা ওভাবে করলে ভালো ইত্যাদি বলার চাইতে, করতে হবে বলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই মানসিকতার যেমন পরিবর্তন প্রয়োজন। তেমনি যখন আপনজনেরা আমাদের কোন কাজের সমালোচনা করে বা কোন বিষয়ে সংশোধনের পরামর্শে দেয়। বিরোধ না করে বা রেগে না গিয়ে প্রথমেই ভেবে দেখা উচিত এর পেছনে তাদের ইনটেনশন আসলে কি। তারা কি আমাদের কল্ল্যাণ কামনা করে এমনটা চাইছে নাকি অন্যকিছু। যদি দেখা যায় যে তাদের ইনটেনশন আমাদের জন্য কল্যাণময়। সেক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ ইতিবাচক ভাবে নিতে হবে। আফরা এদিকে এসো।
এগিয়ে গেলো আফরা মারওয়ার কাছে। রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাগানের দিকে আঙ্গুল তুলে মারওয়া বলল, দেখো ঐ ফুলের উপর প্রজাপতি বসে আছে কত আরামে, কত নিশ্চিন্তে। তুমি যদি এখন প্রজাপতিটিকে ধরতে যাও তাহলে উড়ে যাবার সম্ভাবনাই নাইনটি ফাইভ পার্সেন্ট তাই না?!

চলবে..

Facebook Comments