অফিস মানেই কি স্ট্রেস? অনেক কাজের চাপ, বসের বকাঝকা, সহকর্মীদের সাথে প্রতিযোগিতা আর অফিস পলিটিক্সের নানান ঝামেলা- এই কি অফিস? না। কাজের জায়গা হলেও অফিসকে আপনি করে নিতে পারেন নিজের মনের মত! কাজ করতে করতেও থাকতে পারেন স্ট্রেসফ্রি। কীভাবে? আসুন জেনে নিই-
কলিগদের সাথে বন্ধুত্ব করুন
অফিস কাজের জায়গা। বন্ধুত্বের জায়গা নয়। ঠিক। কিন্তু কলিগ তো আপনার শত্রুও নয়, তাই না? সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসুন। এতে আপনারই স্ট্রেস কমবে। আপনার কাজ আপনি ঠিকমত করে যান। সবার সাথে মিশুন হাসিমুখে। অন্য কেউ যদি আপনার সাথে প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান তিনিও একসময় ক্লান্ত হয়ে যাবেন। ভাল ব্যবহার, মিষ্টি হাসি আপনাকে সবার বন্ধু করে তুলবে। এতে আপনার কাজ সহজ হবে। অনেক প্রয়োজনে সাহায্য যেমন পাবেন তেমনি অপ্রয়োজনীয় স্ট্রেস কমে আসবে।
সব কাজ ঠিকমত করুন
নিজের কাজ অবহেলা করে ফেলে রাখবেন না। কাজ ঠিকমত না করলে বসের রাগ তো সইতেই হবে, তাই না? তাই ঠিকমত নিজের দায়িত্ব পালন করুন সবার আগে। অফিসে এসে সময় নষ্ট করবেন না। সব কাজ গুছিয়ে করুন। চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন। আপনি যার অধীনে কাজ করছেন যে কোন ব্যপারে আগে তার সাথে কথা বলুন। তাকে এড়িয়ে উর্ধ্বতন কারও সাথে পরামর্শ করতে যাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। সমাধান হবে না।
মাঝে মাঝে ব্রেক নিন
একটানা কাজ যে কোন মানুষকে ক্লান্ত করে দেয়। কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিন। হাঁটাহাঁটি করুন। চা পান করুন। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন। এখন অফিসে প্রায় সব কাজই থাকে কম্পিউটারে। সারাক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা নার্ভে চাপ তৈরি করে। তাই কাজের ফাঁকে একটু হলেও ব্রেক নিন।
গান শুনুন
এমন কিছু কাজ থাকে যা একটু রিল্যাক্স মুডে করা যায়। সেই সব কাজের সময় গান শুনুন। সুর, ছন্দ আমাদের মস্তিষ্ককে একটা শান্তির আমেজ দেয়। আনন্দের বার্তা পাঠায়। এতে সে যা কাজ করে আনন্দের অংশ হিসেবেই করে। ফলে ওই কাজটুকু আপনার মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি করে না।
জীবনের সাথে তাল মেলান
কম বেতন, যাতায়াতের সমস্যা এগুলোও স্ট্রেস তৈরি করে। জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিন এগুলোকে। যা নেই তা তো বাড়তি টেনশন করলেও আসবে না, তাই না? তাই জীবনকেও ওইভাবেই সাজিয়ে নিন। অফিসের কাছে বাসা ভাড়া নিতে পারেন বা নিজের অপ্রয়োজনীয় কোন শখ আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন। এভাবে নিজেকে ভারমুক্ত করুন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
Facebook Comments