অফিসে মিটিং শুনলেই অনেকের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। সারা সপ্তাহের কিংবা মাসের কাজের জবাবদিহিতা দিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় নানাভাবে। তার মাঝেও থাকে নানা সমস্যা। বসের মনের অবস্থা থেকে রাস্তার পরিস্থিতি সবকিছুকে মাথায় রেখেই আপনাকে অফিস মিটিংয়ে বসতে হয়। এর পরেও আপনার করা ছোটখাটো ভুল আপনার কাজের কৃতিত্ব যেমন নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনই আপনার ইমেজেরও বারোটা বাজাতে পারে। তাই অফিস মিটিংয়ের আগে কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন আর আপনার আশপাশেও রাখুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।
কথা বলা
অযথা বেশি কথা বলবেন না। বিশেষ করে মিটিংয়ের সময় কাজের কথা বাদে কোনো কথা বলবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে মিটিং শেষে কথা বলুন। মিটিংয়ের পুরো সময় নিজের কাজের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আপনার বলা কথায় আপনার পাশের মানুষটির সমস্যা হতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে আপনারও। যার ফল আপনার নেগেটিভ ইম্প্রেশন।
সঠিক সময়
মিটিংয়ের দিনে বাড়ি থেকে হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। যাতে আপনাকে মিটিংয়ের মাঝে পৌঁছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। হাতের কাজ আগের দিন গুছিয়ে নিন। নিজেকে প্রস্তুত রাখুন মিটিংয়ে ভালো কিংবা মন্দ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে।
অভ্যাস
মিটিংয়ের আগে নিজের সঙ্গে নিজের কিছুটা সময় হাতে নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে আপনার মুখের জড়তা কেটে যাবে। নয়তো দেখা যায়, আপনি মিটিংয়ের সময় কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছেন এবং ভুল হচ্ছে। এতে আপনি যেমন নিজের ওপর থেকে কনফিডেন্স হারাচ্ছেন তেমনি অন্যরা হচ্ছে বিরক্ত। তাই মিটিংয়ের আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা অভ্যাস করে নিন।
কথা শেষ না হতেই কথা বলা
আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই অভ্যাসটি আছে। বসের কথার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে তার কথা শেষ না হতে নিজের কথা বলতে শুরু করা। মিটিংয়ের সময় এই কাজটি ভুলেও করবেন না। আপনার বস আপনাকে কী বলতে চাচ্ছেন- তা আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এরপর তাকে উত্তর দিন। খেয়াল রাখবেন উত্তর যাতে যুক্তিযুক্ত হয়।
বসের সঙ্গে তাল মেলানো
আপনি জানেন আপনার কাজ ঠিক কিন্তু বস বলছে এতে ভুল আছে। সেই ক্ষেত্রে বসই ঠিক। তার কথা শুনে তার মনের মতো করে কাজটি আবার করে তাকে দেখিয়ে নিন। তাকে ভুল প্রমাণ করতে যাবেন না। তাহলে সেটা আপনার জন্যই বিপদ। তাই আপনার কাজগুলো বসের মত অনুযায়ী করুন।
অফিসের কাজের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করুন। আপনি যে কাজটি করছেন, তা অন্যদের থেকে কীভাবে ভালো করা যায়- তা নিয়ে ভাবুন। দেখবেন আপনি আপনার কাজে যেমন সফলতা পাচ্ছেন, তেমনই কাজ করে আনন্দও পাচ্ছেন। তাই কাজকে ভালোবাসুন এবং সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলকেও।