গাজী আনোয়ার শাহ্
আমার বসন্ত আছে, কৃষ্ণচূড়া আর দক্ষিণের সমীরণও আছে।
হলুদ বা লাল পাঞ্জাবী নেই,
বাদামি রঙের হালকা প্রচ্ছদে বই আছে। যেটি স্বর্গের একটি টুকরো বলে মনে হয়।
এই পৃথিবী ভালোবাসা আর ভালো লাগার প্রাণ কেন্দ্র তখনি হবে যখন মানুষ বুঝতে শিখবে আমরা মানুষ!
আমাদের নিজস্বতা আছে, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য আছে।
আজকের হিংসা বা পরশ্রীকাতরতা আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে আমাদের কোমলতা, হৃদয়ের অনুভব। তাই সে হারিয়ে যাওয়া সম্পদ ফিরে পেতে আমাদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য নিবাস হওয়া চাই লাইব্রেরী।
যেখানে হাজারো লাল কৃষ্ণচূড়া, লাল গোলাপ, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধারা রয়েছে। সে গোলাপের নাম বই”।
বই” যে ফুল কখনো তার সৌরভ হারায় না,
লাইব্রেরী ঐ বসন্ত যেখানে শীতের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।
এখানে সুরের মোহনায় হরিয়ে যাওয়া যায়।
বসন্ত তার রাজসম্মান এখানেই পাবে।
হীরাতে যেমন কোন খাদ থাকে না, তেমনি এই বসন্তে কোন খাদ নেই। ভালোবাসার অতিশয্যটা এখানেই যৌবন পায়।
সব বিষণ্নতাকে অবাঞ্ছিত করে বসন্তের সুখ দেয় পাঠক মনে।
এটি আমি নির্বিবাদে মেনে নেই।
এটি একটি গোলাপী স্বপ্ন।
জীবনের বিক্ষুদ্ধ ঢেউগুলোর আঘাতে একেবারে অবিচলিত হওয়া মানুষটি যখন পাশে কাউকে পায় না একটি উষ্ণ প্রণয়ের অনুভূতি দিবে বলে,
তখন তাকে আমি চির বসন্ত গ্রন্থাগারে আমন্ত্রণ জানাবো।
তার রুদ্ধ দরজাটা সহসা খুলে যাবে। বেশভূষায় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে।
আজ ফুসকার দোকান বা রিক্সায় রাইডিং হবে না,
হবে সব দিনকার মত রিডিং।
বসন্তকে আমি,
আমি বসন্তকে আলিঙ্গন করে নিয়েছি সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে।
জীবন হোক সুন্দর সুশোভিত মনোহর, মনরোমা।
ভালো আর সুন্দরের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক দক্ষীণা সমিরণে।
প্রতিটি দিন যেন রাঙ্গা থাকে ভালোদের আনাগোনায়।
বিদায়বেলায় লিখে দিবো কেবল……
তোমার অর্থ সম্পদ, দালান-ইমারত আর ঐশ্বর্যের ঈর্ষা করি না আমি,
প্রায়শই নজরুল ফররুখ স্বপ্নে দর্শন দেয় আমায় জানো না তুমি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
আরবি বিভাগ,
৪র্থ বর্ষ