ব্যবসা অনলাইন হোক বা অফলাইন প্রচারণা খুবই জরুরি। তবে অফলাইনের চাইতে অনলাইন ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ অনেক বেশী। মার্কেটিং পলিসিতে একটু যদি অবহেলা করেছেন তবেই পড়ে যাবেন আরও অসংখ্য ব্যবসায়ীর পেছনে। প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। একইরকম পণ্যের রয়েছে অসংখ্য ওয়েবসাইট, তারও চেয়ে কয়েকগুণ বেশী অনলাইন পেজ। এরই মাঝে ক্রেতার নজর কাড়তে মেনে চলুন এই কৌশলগুলো-
টার্গেট ভোক্তার দিকে নজর দিন
সহজ হিসেব। আপনার বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা সবার জন্য নয়। কি পণ্য তৈরি করছেন আপনি, সেটা কোন বয়সের মানুষ ব্যবহার করবেন, পণ্যের মূল্য অনুযায়ী কোন শ্রেণীর মানুষ পণ্যটি ক্রয় করবেন, লিঙ্গভেদে তার ভোক্তা আলাদা হবে কিনা- এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে জানতে হবে। শুধু সেই সব ভোক্তার কাছেই পৌছতে হবে আপনাকে যাদেরকে আপনার প্রয়োজন। ভোক্তা নির্দিষ্ট করার পর দেখতে হবে সেই ভোক্তারা কী খুঁজছেন, তারা পণ্যের কেমন মান চাইছেন, কেমন ডিজাইন চাইছেন! বিজ্ঞাপণে তেমন ছবিই ব্যবহার করতে হবে আপনাকে, সেভাবেই তুলে ধরতে হবে পণ্যের নানান দিক।
ভোক্তার সাথে আন্তরিক সংযুক্তি
গুগলে বিজ্ঞাপন কেনা বা জটিল একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা দীর্ঘ সময় এবং খরচের ব্যাপার। তার পরিবর্তে একটা সিম্পল ব্লগ লিখুন নিজের ব্যবসার নানান দিক নিয়ে। একটা ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুক প্রোফাইল আপনার প্রচারণাকে আরো বেশী সহজ করতে পারে। নিয়ে যেতে পারে ভোক্তার হাতে হাতে। আপনার যোগাযোগের ধরণটি হতে পারে আন্তরিক, বন্ধুর মত। যাতে ভোক্তারা আরো বেশী সংযুক্ত বোধ করেন। এজন্য ছবি নয়, ছবির সাথে যুক্ত করুন কিছু বক্তব্য। যুক্ত করুন আপনার গল্প, পণ্যটির পেছনের শ্রমের গল্প, আবেগের গল্প।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
অনলাইনে ব্যবসা বাড়াতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সক্রিয় থাকা খুবই জরুরি। ওয়ার্ডপ্রেস এ চাইলেই কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন আপনি। কিন্তু ব্লগ বা এজাতীয় যে কোন প্রচারণাকে কার্যকর করতে অবশ্যই তাকে জুড়ে দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। ফেসবুক, লিঙ্ক ইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোনে নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে খুব সহজেই কিন্তু জানা যাবে আপনার ব্যবসার তথ্যটিও। একইসাথে একাউন্ট খুলতে পারেন পিন্টারেস্টে, ইন্সটাগ্রামে।
এসইও
গুগল এসইও একটি সামাজিক মাধ্যম যার কথা অনেকেই জানেন না। ভোক্তার সাথে যোগাযোগের জন্য এটি খুবই কার্যকরি একটি টুলস। সার্চ ইঞ্জিনে পণ্য খুজলে সহজেই চলে আসে কোন পণ্য বা ব্রান্ডগুলো? যাদের র্যাংকিং ভাল, সহজে ট্রাক করা যায়। গুগলে এসইও কৌশল ব্যবহার করে আপনিও আপনার ওয়েবসাইট র্যাংকিং বাড়াতে পারেন। তবে আপনাকে প্রতিনিয়ত নিজের সাইটে স্বক্রিয় থাকতে হবে। ছবি, ভিডিও আপলোড করা, পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। বর্ণনায় ব্যবহার করতে হবে জনপ্রিয় ‘কি ওয়ার্ড’ গুলো যা ব্যবহার করেই মানুষ এধরণের পণ্য খোঁজে। ছোট ছোট কৌশল, কিন্তু এগুলোই আপনার র্যংকিং বাড়াবে।
মোবাইল গ্রাহক
ডিজিটাল বিশ্ব এখন নিয়ন্ত্রিত হয় মোবাইল দ্বারা। এপ্রিল ২০১৬ এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল থেকে। আপনার মার্কেটিং তাই মোবাইল উপযোগী করে তৈরি করুন। এমন ছবি ব্যবহার করুন যা মোবাইলে ভাল দেখতে ভাল লাগে। ছবি সাইজও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। মোবাইলের গ্রাহকদের জন্য ভিন্ন ভাবেই সাজান আপনার মার্কেটিং কৌশল।