জেলা প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
লক্ষ্মীপুর: জেলার রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় রায়পুর থানার এক পুলিশ সদস্য ও প্রবাসীর স্ত্রীকে গলায় জুতার মালা দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে দু’জনকে জনসম্মুখে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন পুলিশ সুপার। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মিজানের বাড়িতে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রায়পুর থানার পুলিশ সদস্য মোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী মিজানের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। এতে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয়। অন্য সময়ের মতো শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য মোরশেদ প্রবাসী মিজানের ঘরে ঢুকতে দেখে প্রতিবেশীরা। এতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় তাদের দু’জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদ ও শাহিনুর বেগমকে জুতার মালা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে দু’জনকে উন্মুক্ত স্থানে বেঁধে রাখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। রায়পুর থানা পুলিশ তাদের ঊর্ধ্বতন জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি অবহিত করেন। নাম প্রকাশে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। এসব কথা বলে দোষী পুলিশের শাস্তি দাবি করেন তারা।
তবে এ বিষয়ে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদ কোন কথা বলতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা ও ওসি (তদন্ত) নাছিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। বরং, তারা এ বিষয় এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আলম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্য মোরশেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/১৭.২৪.২৭জানুয়ারী২০১৪/আরএ