banner

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 672 বার পঠিত

 

মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা এবং খাওয়াবার নিয়ম

ডা.মারুফ রায়হান খান

এটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই একটি শিশুর জন্মের পর কী খাবে তার আগাম ব্যবস্থা করে পাঠান। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ মিলিয়ন নবজাতকের মৃত্যু নিবারণ করা সম্ভব, যদি জীবনের প্রথম ১ ঘণ্টার মধ্যেই শিশুকে বুকের দুধ পান করানো যায়। আরও বলা হয় যে, অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুমৃত্যুর হার প্রায় ১৩ ভাগ কমিয়ে আনা যেতো শিশুকে জন্মের প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ দেওয়া হতো। এবার আলোচনা করা যাক বুকের দুধের উপাকারিতা নিয়ে।

শিশুর জন্যে উপকারিতা:

১. এটি একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার। সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এর মাঝে।
২. এটি সহজেই হজম হয়, পরিপাকতন্ত্রে ভালোভাবে শোষণ হয়।
৩. জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে।
৪. মায়ের সাথে শিশুর এক আত্নিক-আবেগিক বন্ধন গড়ে ওঠে।
৫. মস্তিষ্কের গঠন সুসংহত হয়। বুদ্ধিমত্তা শক্তিশালী হয়।
৬. বিভিন্ন ধরনের এলার্জি থেকে প্রতিরোধ করে।
৭. যেসব শিশু নিয়মিত বুকের দুধ পান করে, তাদের শৈশবকালীন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

মায়ের জন্যে উপকারিতা:

১. জরায়ু গর্ভকালীন সময়ের আগের স্থানে দ্রুত ফিরে যেতে সহায়তা করে।
২. পরবর্তী গর্ভধারণকে বিলম্বিত করে।
৩. স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

পরিবার এবং সমাজের উপকারিতা:

১. অর্থ বাঁচায়।
২. পরিবার-পরিকল্পনায় সহায়তা করে।
৩. যেসব শিশুকে যথার্থভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের হাসপাতালে কম ভর্তি করতে হয়।
৪. শিশুকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। আর একজন সুস্থ শিশুই পারে সমাজকে তার সর্বোচ্চটুকু দিতে।

শিশুকে বুকের দুধ কীভাবে খাওয়াতে হয়?

১. মায়ের হাত দিয়ে শিশুর পুরো শরীরটাকেই সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হবে।
২. শিশুর শরীর মায়ের শরীরের সাথে লাগানো থাকবে।
৩. মাথা এবং শরীর সোজা থাকবে।
৪. শিশুর মুখ স্তনের দিকে থাকবে, নাক স্তনবৃন্তের (নিপল) বিপরীতে থাকবে।
৫. শিশুর থুতনি স্তন স্পর্শ করবে।
৬. শিশুর মুখ বড় করে খোলা থাকবে।
৭. নিচের ঠোঁটটা বাইরের দিকে থাকবে।
৮. স্তনের কালো অংশ (এরিওলা) নিচের থেকে উপরের অংশ বেশি দৃশ্যমান হবে।

ডা.মারুফ রায়হান খান
প্রভাষক
ফার্মাকোলজি বিভাগ
এনাম মেডিকেল কলেজ

Facebook Comments