banner

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1197 বার পঠিত

 

নারীশিক্ষার অগ্রদূত ‘বেগম রোকেয়া’

“অশিক্ষিত চোখ যেই খানে ধূলি-কর্দম দেখে, শিক্ষিত চোখ সেই খানে দেখে মণি-মাণিক্য”

আপনার ধারণায় ঠিক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উক্তি এটি। তিনি নারীদের শিক্ষা দিয়ে আলোকিত করার অগ্রদূত। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। খুব অল্প সময়, মাত্র ৫২ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ে এবং হাজার বাধার মধ্যে তিনি এত কাজ করেছেন যে ভাবতে অবাক লাগে। নারীশিক্ষার জন্য যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা তিনি করেছেন, যে সাহস দেখিয়েছে, সেটা তিনি দেখিয়েন আমাদের অনুপ্রেরণাককারী হিসেবে। বেগম রোকেয়া ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুগলের হোমপেজে বিশেষ একটু ডুডল প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বেগম ‘রোকেয়া দিবস’ পালন করেন বিভিন্ন নারী সংগঠন, এনজিও, সরকারের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ‘রোকেয়া পদক’ দেওয়া হয় বিশিষ্ট নারীদের। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন।
এ বছর রোকেয়া পদক পেয়েছেন
images(81)
চিত্রশিল্পী ‘সুরাইয়া রহমান’, লেখক ‘শোভা রানী ত্রিপুরা’, সাংবাদিক ‘মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ(মরণোত্তর)’, সংগঠক ‘মাজেদা শওকত আলী’,
সমাজকর্মী ‘মাসুদা ফারুক রত্না’।
আজ তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বেগম রোকেয়া দিবস থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস—ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস, বাংলাদেশের নারীদের এই অনন্যসুযোগ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। সামগ্রিকভাবে সবাই মিলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তুতি আমরা রোকেয়া দিবস থেকেই শুরু করতে পারি। সমাজের সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, নারীমুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখা যায়। রোকেয়া সেই দিকটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছবিসুত্র:বিডিনিউজ২৪,গুগল

Facebook Comments