banner

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 312 বার পঠিত

আমার কবিতা গুলোর আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটি ছিল স্বপ্নের মত

সাবরিনা শুভ্রা। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায় ।পড়ালেখা শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে। বেশ কিছু দিন কাজ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনে। কৈশোর  থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি সাবরিনা শুভ্রার। বাবা আর মায়ের সযন্ত উৎসাহ ছিল ঢের। কবিতা,গল্প,নাটক অনেক কিছুতেই হাত দিয়েছেন তিনি। লেখা ছাড়াও আঁকা , সংগীত ফ্যাশন ডিজাইনেও তার সমান দক্ষতা। তবে সবই রেখেছেন শখের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র লেকচারার এবং সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে তিনি গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করছেন এখন। গবেষণা ও এবং উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও মেধা ও প্রতিভার ছাপ রেখেছেন তিনি।এছাড়া তিনি Society for Social Enhancement- এর নির্বাহী সদস্য। এবারের বই মেলাতে প্রথম বের হয়েছে কবি সাবরিন শুভ্রার দু’টি কাব্যগ্রন্থ-একটি বাংলা, আরেকটি ইংরেজিতে। তাঁর সাথে কথা বলেছেন রবিউল ইসলাম আওলাদ-
 601066_494445993946608_980422584_n

প্রতিবেদক: এবারের বই মেলাতে আপনার লেখা কয়টা বই বের হয়েছে? কোন প্রকাশনী থেকে?

 

সাবরিনা শুভ্রা: এবারের বই মেলাতে আমার দু’টি কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে। একটি বাংলা অন্যটি ইংরেজিতে। বাংলা বইটির নাম শঙ্খচূড়া এটি প্রকাশ করেছে সূচীপত্র ইংরেজি বই টির নাম MARGIN OF THE HEART এটি প্রকাশ করেছে ত্রয়ী প্রকাশন।

 

প্রতিবেদক : কবে থেকে লেখালেখি শুরু আপনার?

 

সাবরিনা শুভ্রা: ছোট বেলা থেকেই আমি লেখালেখি করে আসছি।

 

প্রতিবেদক: প্রকাশিত বই দুটি সম্পর্কে কিছু  বলুন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আসলে লেখালেখি ছিল শখের গণ্ডিতে কখনো  যে বই আকারে তা প্রকাশ পাবে ভাবিনি। আমার প্রিয়জনদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরনায় আজ সেগুলো মলাটে বন্দি হল। এজন্য আমার অনুভূতি আজ ভাষাতীত।

 

প্রতিবেদক: বই মেলায় বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলবেন?

 

সাবরিনা শুভ্রাঃ প্রতিবারই অনেক বই কিনি । বই কেনা ও পড়া আমার শখ গুলোর মধ্যে একটি। এবারের বই মেলায় নিজের বই মানুষ কিনছে আর বেশ সাড়া পাচ্ছি তাই বেশ আনন্দ বোধ করছি।

 

প্রতিবেদক: কার লেখা বই আপনার ভালো লাগে?

 

সাবরিনা শুভ্রা: দেশীয় অনেকের লেখাই ভালো লাগে তার মধ্যে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমান, জিবনানন্দ, জসিম উদ্দিন এর লেখা খুবই ভালো লাগে। তা ছাড়া আল মাহমুদ, হেলাল হাফিয,শওকত ওসমান, শওকত আলি,শামসুল হক প্রমুখ লেখকদের লেখা ভালো লাগে।

 

প্রতিবেদক:  আপনার লেখালেখির পেছনে কার অবদান বেশি?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আমার লেখালেখির পেছনে প্রথমত আমার বাবার অবদান বেশি। বাবাকে দেখেই আর বাবার উৎসহ থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি । এছাড়া আমার মা আর পরিবারের সবারই অবদানই রয়েছে।

 

প্রতিবেদক: বই মেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: সম্প্রসারণের বিষয়টি আসলে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রশস্ত জায়গায় মানুষ সাচ্ছন্দে পদচারনা করতে পারছে। বই বাছাই এবং কিনতে পারছে।

 

প্রতিবেদক: লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

 

সাবরিনা শুভ্রা: ভবিষ্যতে আমি সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখতে চাই। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণী আমার লেখার বিষয় বস্তু বেছে নিয়েছি।

 

প্রতিবেদক: সারা বছর পাঠকের হাতে যেন বই থাকে এ ব্যাপারে কি করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: সারা বছর পাঠকের হাতে যাতে বই থাকে তাই সারা বছর ই নতুন নতুন বই প্রকাশ হওয়া উচিত। এজন্য লেখক এবং প্রকাশকদের পাঠক সৃষ্টির ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

 

প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কবিতা নিয়ে আপনি কতোটা আশাবাদী?

 

সাবরিনা শুভ্রা:আমার আশা সুদূর প্রসারিত। প্রেম, বিরহ, আশা, স্বপ্ন, নৈরাশ্য, আবেগ, দেশাত্মবোধ, দু:খ, একাকিত্ব, বেদনা ও অতীন্দ্রিয়তা আমার কবিতার বিষয় বস্তু যা জীবনের সব গুলো দিক পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন।

 

প্রতিবেদক: এই প্রথম আপনার দুটি বই প্রকাশিত হলো এতে আপনার কেমন অনুভতি?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আমার কবিতা গুলোর আত্মপ্রকাশ ঘটবে বই আকারে এটি ছিল স্বপ্নের মত। তাই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হউয়ার আনন্দ সীমাহীন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৪ফেব্রয়ারি১৭৪০ঘন্টা২০১৪/এ

Facebook Comments