banner

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 716 বার পঠিত

 

অবৈধ কাজের আবেদন থেকে হেফাজত থাকার দোয়া

মানুষ অনেক বিষয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে। এমন অনেক দোয়া করে যে কাজ করা বৈধ নয়। যেমন- নিরাপদে চুরি বা ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য দোয়া, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার নিয়তে কোনো কাজ করার শুরুতে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।

এ ধরনের অন্যায় কাজ বা অন্যায় করে ফেললে তা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক।

হজরত নুহ আলাইহিস সালামের ছেলে (কেনান) যখন তাঁর অবাধ্য হয়ে প্লাবনের সময় নৌকায় আরোহন করেনি। তখন প্লাবনের ঢেউ তাকে ডুবিয়ে দিলো।

হজরত নুহ আলাইহিস সালাম আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ! আমার পুত্রতো আমার পরিবারভূক্ত। তখন আল্লাহ বলেন, ‘নুহ যে তোমার কথা শোনে না, সে তোমার পরিবারভূক্ত নয়।

তখন নুহ আলাইহিস সালাম নিজের আবদার বা দোয়া যে সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি তা বুঝতে পেরে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়াটি কুরআনের কারিমে তুলে ধরেছেন। এ ধরনের কোনো অন্যায় করে ফেললে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করা জরুরি। যা তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আউজুবিকা আন্ আস্আলাকা মা-লাইসা লি বিহি ইলমুন; ওয়া ইল্লা তাগফিরলি ওয়া তারহামনি আকুম মিনাল খাসিরিন। (সুরা হুদ : আয়াত ৪৭)

অর্থ : হে প্রভু! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো, দয়া না করো তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরর্ভূক্ত হয়ে যাবো।

কুরআনের এ আয়াতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এবং কার্যকরী দোয়া। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে সব অবৈধ চাওয়া-পাওয়ার পাপ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

Facebook Comments