banner

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 575 বার পঠিত

 

পরকালের প্রথম মনজিল কবর

কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা সহজে এ মঞ্জিল থেকে মুক্তি লাভ করবে। তার জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। এ জন্য আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম, আওলিয়ায়ে কেরামগণ সব সময় কবরের যাবতীয় বিষয়াবলী থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট রোনাজারি করতেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কবরের সব ধরনের বিপদাপদ ও আজাব হতে আশ্রয় লাভের জন্য তাঁর উম্মতকে কুরআন-সুন্নাহর বিধান পালনের তাগিদ দিয়েছেন। দোয়া শিখিয়েছেন। আল্লাহর রহমত কামনা করতে বলেছেন।

হজরত বারা বিন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এক আনসারি সাহাবির জানাযায় অংশগ্রহণ করার জন্য বের হলাম।

তখনও ওই সাহাবার কবর খননের কাজ শেষ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে বসে পড়লেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম।

তাঁর হাতে ছিল একটি কাঠি। তা দিয়ে তিনি মাটিতে খুঁচাতে থাকলেন আবার আকাশের দিকে তাকাতে থাকলেন। একবার জমিনের দিকে আবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এভাবে তিনি তিনবার দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন।

অতঃপর সাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাটি দুই বার অথবা তিনবার বললেন।

অতঃপর তিনি পরকালের প্রথম মনজিল কবরের আজাব থেকে রক্ষা পেতে এ দোয়াটি করলেন-
kabar
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ’জুবিকা মিন আ’জাবিল ক্ববরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।

পরিশেষে…
পরকালের প্রথম মঞ্জিল হলো কবর। কবরের সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকাই একজন মুমিনের জীবনের প্রথম চাওয়া-পাওয়া। যে ব্যক্তি কবরের প্রশ্ন ও সময় সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারবে। তার পরবর্তী সব কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের প্রথম মনজিল কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন। কুরআন সুন্নাহর বিধি-বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। চিরস্থায়ী জীবনকে সুখ-শান্তিময় করুন। আমিন।

Facebook Comments