দিনাজপুর প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম:
দিনাজপুর:বিয়ের প্রলোভনে ফেলে এক যুবতীকে ৩ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পরে এ ঘটায় ওই লম্পট। দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে কথিত স্বামী ও তার বন্ধুসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর উপশহরে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার এসআই বিদ্যুৎ সাহা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে ৩ মাস আগে দিনাজপুর উপশহর ২নং ব্লকের বাবু মিয়ার পুত্র জয়নুদ্দিন জিৎ (২২) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার ওই যুবতীকে (১৯) দিনাজপুরে নিয়ে আসে।
স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে উপশহর ৭নং ব্লকের রানার বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে তারা ৩ মাস ধরে বসবাস করছিল। শুক্রবার রাতে কথিত স্বামী জয়নুদ্দিন ৩-৪ জন খদ্দের এনে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় যুবতীর উপর শারীরিক নির্যাতন করে তারা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই যুবতীকে কোতোয়ালি থানায় এসে ঘটনার বিবরণ জানায়।
তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথিত স্বামী জয়নুদ্দিন জিৎ ও বাড়ির মালিক রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে যুবতী। শনিবার বিকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরে সাইমুনকে দিনাজপুর সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ঘটনার বিবরণ শোনার পর তাকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। গ্রেপ্তারকৃত জয়নুদ্দিন জিৎ ও রানাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪