ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমার নাম ‘বাহুবলি’। প্রথম পর্বের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘বাহুবলি-২’। কিন্তু এর আগেই দুঃসংবাদ পেলেন ছবির প্রযোজক। কারণ ‘বাহুবলি’র প্রযোজকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিল ভারতীয় আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর, বাহুবলি প্রযোজকদের অফিস ও বাড়ি নিয়ে মোট ৩০টি লোকেশনে তল্লাশি চালানো হয়।
গতকাল ছবির প্রযোজক শোবু ইয়ারলাগাড়া ও প্রসাদ দেবীয়ানীর বাড়ি সহ অর্ক মিডিয়ার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেলেগু প্রযোজকের মতো, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়ই আয়কর বিভাগের নজরে থাকে। কিন্তু আয়কর দপ্তর যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা কেউ ভাবেনি। আয়কর দপ্তরের এক কর্মীর ভাষ্য, তল্লাশি কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। শোনা গেছে, ‘বাহুবলি’র পরিচালক এস রাজামৌলির বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে আয়কর দপ্তরের কর্মীরা।
গতবছর বিশ্ব বাজার থেকে ৬৫০ কোটি আয় করে ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। তার মধ্যে ৬০ কোটির নাকি কোন হিসেব নেই। গণমাধ্যম সূত্র মতে, দুই প্রযোজকের অফিস ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে পুরনো নোট বাতিল করে কালো টাকা বন্ধ করার অভিযান শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, হয়তো তারই জেরে এই হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। ১২০ কোটি রুপিতে তৈরি হয় এই ছবিটি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি দেয়া হয় ছবিটি। ২০১৫ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে নেয় ‘বাহুবলি’।
সূত্র: ডেকান ক্রনিকল