banner

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 279 বার পঠিত

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতে

প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয়। নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মাদ জোহরা খাতুন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ)।
‘১৩ বছরের কর্মজীবনে আমার মনেই হয়নি যে আমি নারী। মেয়েদের কাজ, ছেলেদের কাজ বলে কোনো পার্থক্য নেই।’ গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের সামনে জোহরা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি এখন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত-৫, এলেনবাড়ী তেজগাঁও ঢাকা শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কথা বলার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পেশকার আবু সাইদ ও পরিদর্শক শেখ মো. রজিবুল ইসলাম।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ পরিচালনা করতে হয়। বিআরটিএ থেকে আগেই আদালত বসানোর স্থান নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, বাসচালক, মোটরবাইকের চালক সবার দাপ্তরিক কাগজপত্র আছে কি না, তা দেখা হয়। আবার বাসের কতগুলো নির্ধারিত আসন, আর কতজন দাঁড়িয়ে আছেন, মানুষের সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি কি না—সেসব তদারকির মূল দায়িত্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুনের।
জোহরা খাতুন তাঁর একটা অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন । বললেন, এ বছর রোজার সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসে একজন চালক অভিযোগ করেন, সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় এক পুলিশ সদস্য তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এরপর জোহরা খাতুন সেসময়ে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশদের ডেকে দুই দিনের সময় বেঁধে দেন। তাদের বলেন, ওই চালককে খুঁজে বের করে তাঁর টাকা ফেরত দিতে। পরে চালক ওই টাকা ফেরত পান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা খাতুন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বলে ভিন্নতা নেই। স্বামী ব্যাংকার কাজী মো.গোফরান স্ত্রীকে সব সময় উৎসাহ দেন কাজে। এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে জোহরা খাতুন থাকেন কাকরাইলে। অফিসের কাজ শেষে বাড়িতে ছেলেমেয়েদের সময় দিতে বেশি ভালো লাগে তাঁর।

Facebook Comments